সিবিআই তার কাজ করছে, বললেন অমিত

সারদা কাণ্ড থেকে খাগড়াগড়বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলকে পথে নামানোর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তার জবাব দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। শাহ আজ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে ধ্বংস করার জন্য একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যথেষ্ট। আমাদের কিছুই করতে হবে না। দেওয়াল লিখন খুব স্পষ্ট।” বিজেপি সভাপতির দাবি, মমতার কৃতকর্মের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলতে চলেছে।

Advertisement

জয়ন্ত ঘোষাল

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:০৪
Share:

সারদা কাণ্ড থেকে খাগড়াগড়বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলকে পথে নামানোর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তার জবাব দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

Advertisement

শাহ আজ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে ধ্বংস করার জন্য একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যথেষ্ট। আমাদের কিছুই করতে হবে না। দেওয়াল লিখন খুব স্পষ্ট।” বিজেপি সভাপতির দাবি, মমতার কৃতকর্মের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলতে চলেছে।

২৯ নভেম্বর রাতে বিজেপি সভাপতি কলকাতা যাচ্ছেন। ৩০ নভেম্বর কলকাতায় বিজেপির জনসভা হওয়ার কথা। অমিত শাহ বলেন, “এই জনসভা করার জন্য এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমতি দেয়নি। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কী প্রবল নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে তৃণমূল।” বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে গিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

গত কাল অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদী সরকার-সিবিআই ও সংবাদমাধ্যমের একাংশকে এক যোগে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, “সিবিআই সিবিআইয়ের কাজ করছে। এখানে আমাদের দলের পক্ষ থেকে কিছুই বলার নেই। কিন্তু বিরোধী হিসেবে যদি শাসকের দুর্নীতি নিয়ে বলার মতো তথ্য পাই, তা হলে সেটা আমরা বলব না?”

শাহের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন তো তিনি নিজেই এই কাজটি করতেন। বিজেপি সভাপতির কথায়, “২০১৬-এর পর আবার যখন তিনি বিরোধী নেত্রী হবেন, তখনও তিনি এই কাজটিই করবেন। বিরোধী থাকার সময়ে মমতা কত বার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন তা তো ইতিহাস।” শাহের দাবি, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় মমতা এখন আক্রমণই প্রতিরক্ষার একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন। তাঁর কথায়, “মাত্র তিন বছরেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝতে পেরেছেন, যে পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। উল্টে দিদিই পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছেন।” শাহের মতে, তা-ই বর্ধমানের ঘটনার মতো সংবেদনশীল বিষয়েও আগুন নিয়ে খেলা করছেন মমতা। দেশের নিরাপত্তার বিষয়েও আপস করতে পিছপা হচ্ছেন না। বিজেপি সভাপতির দাবি, সারদা কেলেঙ্কারি, পশ্চিমবঙ্গের তালিবানিকরণ, শিক্ষায় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, জেলায় জেলায় মাফিয়া রাজের ফলে তৈরি পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

শাহ বলেন, “দিদি আমাকে চেনেন না। কিন্তু আমি ওঁকে চিনি। লড়াকু নেত্রী ছিলেন। ওঁকে বলব, মাথা গরম করবেন না। উনি যদি বিজেপি সভাপতি হতেন, তা হলে উনি সেটাই করতেন যেটা আমি আজ করছি।”

আজ লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের একটি আসর ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন অমিত শাহ, অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহ, রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ সরকারের প্রায় সব শীর্ষ মন্ত্রী। ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এবং ভাইয়াজি জোশীও এসেছিলেন। ওই আসরেও বিজেপির শীর্ষ নেতারা পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন