চিটফান্ড তদন্তে ফের গতি

একদল গ্রেফতার হয়ে এখন জামিনে মুক্ত। একদল এখনও জেলে।এই তালিকার বাইরে আরও ৩২ প্রভাবশালীর তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। যাঁরা কখনও না কখনও, কোনও না কোনও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা (প্রচলিত শব্দে চিটফান্ড)-র থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা নিয়েছেন।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

একদল গ্রেফতার হয়ে এখন জামিনে মুক্ত। একদল এখনও জেলে।

Advertisement

এই তালিকার বাইরে আরও ৩২ প্রভাবশালীর তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। যাঁরা কখনও না কখনও, কোনও না কোনও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা (প্রচলিত শব্দে চিটফান্ড)-র থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা নিয়েছেন। এই তালিকায় একাধিক দলের বিভিন্ন মাপের নেতার পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন অথচ প্রভাবশালী এমন অনেকে রয়েছেন। এক গোয়েন্দা-কর্তার কথায়, ‘‘মাস দুয়েক আগেই ওই প্রভাবশালীদের নামের তালিকা দিল্লির সদর দফতরে শীর্ষকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে সবুজ সংকেতও মিলেছে।’’

সারদা, রোজভ্যালি ছাপিয়ে চিটফান্ড তদন্ত ছড়িয়ে়ছে আরও ২৮ সংস্থার মধ্যে। বুধবারই প্রয়াগ-এর দুই কর্তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জয়ের পরে আচমকাই গতি পেতে চলেছে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্ত। সিবিআইয়ের দাবি, ত্রিপুরা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে প্রায় ৩০টি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তছরুপের পরিমাণ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এই সব সংস্থার বেশির ভাগ কর্তাই জালে। যাঁরা এখনও অধরা, তাঁদের প্রায় সকলেই বিদেশে পালিয়েছেন।

সিবিআই সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বড়সড় ধরপাকড় শুরু হতে পারে। এই তদন্তে শেষ প্রভাবশালী হিসেবে গ্রেফতার হন তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা দু’জনেই জেলবন্দি হিসেবে ওড়িশার হাসপাতালে রয়েছেন। সিবিআই-এর এক কর্তার কথায়, ‘‘বেশির ভাগ অর্থলগ্নি সংস্থার মামলাই এখন ওড়িশা থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে। এ রাজ্য থেকে ভবিষ্যতেও যে প্রভাবশালীদের ধরা হবে, তাঁদের ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement