State news

সারদা তদন্তে আরও সক্রিয় সিবিআই, তৃণমূল অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে ব্যাঙ্কে চিঠি

সূত্রের খবর, শুক্রবারসিবিআইয়ের তরফে ওই ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়ে বলা হয়, ২০১২-২০১৪ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি ডিমান্ড ড্রাফ্ট জমা পড়েছিল, যেগুলির অঙ্ক সবই দশ লাখ টাকার বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ১৭:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দশ লাখ বা তার বেশি অঙ্কের একাধিক ড্রাফ্ট জমা পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অ্যাকাউন্টে। সেই ডিমান্ড ড্রাফ্ট কারা জমা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় তহবিলে, জানতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের হরিশ মুখার্জি শাখায় চিঠি দিল সিবিআই

Advertisement

সূত্রের খবর, শুক্রবারসিবিআইয়ের তরফে ওই ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়ে বলা হয়, ২০১২-২০১৪ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি ডিমান্ড ড্রাফ্ট জমা পড়েছিল, যেগুলির অঙ্ক সবই দশ লাখ টাকার বেশি। সেই ড্রাফ্টগুলি কারা দিয়েছিল, তাঁদের নাম, ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়েছে। সারদা মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ককে।

ঠিক কতগুলি এ রকম ড্রাফ্টের লেনদেন হয়েছিল, সেই নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, সেই ড্রাফ্টের সংখ্যা কমপক্ষে কুড়িটি।

Advertisement

আরও পড়ুন: আমরাই বাবার দেহে সিপিএমের পতাকা রাখতে দিইনি, বললেন সোমনাথ-কন্যা

এর আগে, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে, তৃণমূল কংগ্রেসের ২১টি অ্যাকাউন্টের লেনদেনের নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেই সময়ে তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি সিবিআইয়ের কাছে নথি জমা দিয়েছিলেন। পরের মাসেই সিবিআইসেই একই তথ্য ব্যাঙ্কের কাছেও চেয়ে পাঠায়।

সিবিআই সূত্রে খবর, সেই লেনদেন পরীক্ষা করতে গিয়েই ধরা পড়ে ওই ডিমান্ড ড্রাফ্টে লেনদেনের বিষয়টি। এক সিবিআই আধিকারিক বলেন, “তাৎপর্যপূ্র্ণ ভাবে, সাধারণ লেনদেনের থেকে ডিমান্ড ড্রাফ্টে লেনদেনের টাকার অঙ্ক বেশি। স্বভাবতই আমাদের জানা দরকার, কাঁরা ওই টাকা তৃণমূলের দলীয় তহবিলে দিয়েছিলেন।শুধু তাই নয়, কোন উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও তদন্ত সাপেক্ষ।”

সিবিআই ছাড়াও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও তৃণমূল কংগ্রেসের ২০১৪ সালের নির্বাচনী অ্যাকাউন্টের নথি সংগ্রহ করেছিল। সেই অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের কোনও লেনদেন পাননি গোয়েন্দারা।

তদন্তকারীদের দাবি, যাঁরা এই দশ লাখ বা তার থেকে বেশি অঙ্কের ডিমান্ড ড্রাফ্ট দিয়েছেন, তাঁদের পরিচয় জানলে তদন্তে বেশ কিছু জট কেটে যাবে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রাষত্ব ব্যাঙ্কটি অবশ্য এ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তাঁরা জানিয়েছেন যে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement