প্রতারণার অভিযোগ, সিবিআই নজরে ৮টি হিমঘর মালিক

হিমঘরের যন্ত্রপাতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। সবই বিমা করা। সেই খারাপ যন্ত্রের মেরামতি বা বদল করার জন্য তিনটি বিমা সংস্থার কাছ থেকে তোলা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সেই তদন্তের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের প্রায় ৩৭টি জায়গায় হানা দেন সিবিআইয়ের দূর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৫ ২২:২২
Share:

হিমঘরের যন্ত্রপাতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। সবই বিমা করা। সেই খারাপ যন্ত্রের মেরামতি বা বদল করার জন্য তিনটি বিমা সংস্থার কাছ থেকে তোলা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সেই তদন্তের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের প্রায় ৩৭টি জায়গায় হানা দেন সিবিআইয়ের দূর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগ, নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসুরেন্স, জেনারেল ইনস্যুরেন্স এবং ওরিয়েন্টাল ইনস্যুরেন্স— এই তিন সরকারি বিমা সংস্থাকে ঠকিয়েছেন রাজ্যের প্রায় সাত থেকে আটটি হিমঘরের মালিক। এগুলি কোনওটা পশ্চিম মেদিনীপুর, কোনওটি বীরভূম, কোনওটি বা বহরমপুরে। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, যন্ত্রপাতি কিছুই খারাপ হয়নি। খাতায়-কলমে সেগুলিকে খারাপ দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। যাঁরা সেই খারাপ যন্ত্রপাতি সারিয়েছেন, সেই সব মেকানিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের তরফে যে বিল পেশ করা হয়েছিল, তার সবটাই জাল বলে জানিয়েছে সিবিআই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওই সব মেকানিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের অস্তিত্বও মেলেনি বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকী, হিমঘরের যন্ত্র খারাপ হলে সে সংক্রান্ত তথ্য হিমঘরের পক্ষ থেকে লগ-বুকে রাখার কথা। কিন্তু, সেই রকম কোনও নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিবিআই অফিসারেরা।

তদন্তকারীদের অনুমান, এই ভাবে চার কোটি টাকা ঠকানোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারেন ওই সব বিমা সংস্থার অফিসার এবং সার্ভেয়াররাও। কার্যত ওই অফিসারেরাই সরেজমিনে দেখে বিমার টাকা মঞ্জুর করেন। ওই সব অফিসারদের বাড়ি-সহ হিমঘর মালিকদের বাড়িতেই এ দিন হানা দেয় সিবিআই। তবে এখনও এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন