প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য। শুক্রবার আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য, বিভাস অধিকারী এবং রত্না বাগচীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুরপথে ৩৫০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই চক্রে এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিলেন বিভাস। এই ষড়যন্ত্রে রত্নাও জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ সিবিআইয়ের।
মানিক যে সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন, সেই সময় পর্ষদের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন রত্না। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রত্নারও যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। রত্নাকে অতীতে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তাঁরা। প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্নার ডাক পড়েছিল ইডির অফিসেও।
অন্য দিকে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিকের গ্রেফতারির পর উঠে এসেছিল বিভাসের নামও। এক সময় বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি ছিলেন বীরভূমের নলহাটির ওই বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ইডি-সিবিআইয়ের ডাকে বেশ কয়েক বার হাজিরা দিতে হয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ভুয়ো অফিস খুলে প্রতারণাচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি।
মানিকের গ্রেফতারির পর পরেই ইডি আধিকারিকেরা উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। সেই ফ্ল্যাটের সঙ্গে বিভাসের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিল ইডি। তল্লাশি অভিযানের পর সেই ফ্ল্যাট সিলও করে দেওয়া হয়। তার আগে বীরভূমে বিভাসের বাড়ি এবং আশ্রমে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই।