সিবিআই অধিকর্তা ঋষিকুমার শুক্ল ও রাজীব কুমার।—ফাইল চিত্র।
চিটফান্ড তদন্তকে সামনে রেখে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত। সিবিআইয়ের সক্রিয়তা নিয়ে এক দিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন,সেই পরিস্থিতিতে আরও সক্রিয় হয়ে উঠল সিবিআই।
দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে বাছাই করা ১০ দুঁদে অফিসারকে নিয়ে একটি দল গঠন করলেন সদ্য নিযুক্ত সিবিআই অধিকর্তা ঋষিকুমার শুক্ল। অধিকর্তার নির্দেশে এই বিশেষ দল এ রাজ্যের চিটফান্ড তদন্তের নেতৃত্ব দেবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। শুক্রবার সকালের মধ্যেই ওই টিম কলকাতায় পৌঁছে যাবে বলেও দাবি সিবিআইয়ের ওই সূত্রটির।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সারদা-রোজভ্যালি-আইকোর-সহ একাধিক চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এ বার তলব করা হতে পারে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের এই নতুন দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ঋষিকুমার শুক্ল। সেই বৈঠকে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যনৈতিক দলের নেতানেত্রীদেরও। তাঁদের মধ্যে দুই নেতাকে খুব শীঘ্রই তলব করা হতে পারে বলে ওই সূত্রটির দাবি।
আরও পড়ুন: রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কমতে পারে গৃহঋণে সুদের হার
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০ জনের ওই দলে রয়েছেন একজন পুলিশ সুপার, তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, তিন জন ডিএসপি এবং তিনজন ইনসপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। দিল্লি, লখনউ, ভোপালের সিবিআই দফতর থেকে এই দুঁদে অফিসারদের বাছাই করা হয়েছে। সারদা তদন্তের দায়িত্বে থাকা জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব, ডিএসপি তথাগত বর্ধনও এই দলের সঙ্গেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্রটি জানাচ্ছে, বার বার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই নতুন করে দল গঠন করা হয়েছে। শিলংয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরার সময়েও এই দল থাকতে পারে সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে বৈঠকে বসেছেন সিবিআই অফিসারেরা। কবে রাজীব কুমারের বয়ান নেওয়া হবে,সেই সময় কী কী তথ্যপ্রমাণ তাঁর সামনে তুলে ধরা হবে, তা ঠিক করতে ওই বৈঠক চলছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ওটিতে চলছিল অস্ত্রোপচার, নয়ডার বহুতল হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন
ইতিমধ্যে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের মুখোমুখি হতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ওই দিন দু’তরফ মুখোমুখি হবে, নাকি অন্য কোনও বিকল্প তারিখ ঠিক করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।