বুধবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন রাজীব কুমার।—নিজস্ব চিত্র।
চার দিনে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার পর পাঁচ দিনের মাথায় শেষ পর্যন্ত শিলং থেকে কলকাতায় ফিরলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার। এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তিনি কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছন। তার দুই আইপিএস সহকর্মী জাভেদ শামিম এবং মুরলিধর শর্মাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। বিমানবন্দরে তাঁকে নিতে এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের অন্য দুই শীর্ষ কর্তা সুপ্রতীম সরকার এবং প্রবীণ ত্রিপাঠী।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তিনি ওকল্যান্ডে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান। মঙ্গলবারই তাঁকে বলা হয়েছিল এ দিন ফের যেতে। তবে এ দিন আর সিবিআই দফতরে অন্যদিনের মত বেশি সময় তাঁকে কাটাতে হয়নি। সেখানে তাঁর রেকর্ড করা বয়ান শেষ বারের মত ভাল করে খুঁটিয়ে দেখে নেন তিনি।
সাড়ে ১২ টা নাগাদ তিনি সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান তাঁর হোটেলে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল ৪টে ১০ মিনিটের বিমানে শিলং থেকে কলকাতায় রওনা দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ দিল্লিতে বিরোধীদের ধর্নায় মমতা-সহ তিন মুখ্যমন্ত্রী, রাহুলকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
পুলিশ কমিশনারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব কুমার মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের কাছে লিখিত আর্জি জানিয়েছিলেন যে তাঁকে যেন প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া হোক। কারণ শীর্ষ আদালতে তাঁকে হলফনামা পেশ করতে হবে। সেই হলফমানা তৈরি করতে তাঁর কিছুটা সময় প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, সিবিআই সেই অনুরোধ মেনে তাঁকে এ দফায় আপাতত কলকাতা ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেয়নি। তবে তাঁকে বলা হয়েছে প্রয়োজনে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির পর ফের তাঁকে ডাকা হতে পারে বয়ান রেকর্ডের জন্য।
আরও পড়ুন: এ বার সংগঠনে নজর প্রিয়ঙ্কার, লখনউয়ে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক
সিবিআই সূত্রের খবর, সেই সঙ্গে তাঁর কাছে কিছু নথিও চাওয়া হয়েছে। সেই নথি কী সম্পর্কিত তা এখনও জানাননি সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে এ দিন সারদার একটি মামলার শুনানি ছিল বারাসতের বিশেষ আদালতে। সেখানে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন প্রাক্তণ সাংসদ কুণাল ঘোষ এবং দেবযানী বন্দ্য়োপাধ্যায়। এ দিন দেবযানীকে সংবাদ মাধ্যম লাল ডায়েরি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও জবাব দেননি। তবে কুণাল ঘোষ এ দিন বিচারকের কাছে তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর মাধ্যমে নিরাপত্তার আবেদন জানান। তিনি আদালত থেকে বাইকে বেরিয়ে বলেন,“ শিলংয়ে সিবিআইয়ের সামনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেকের নাম উঠে এসেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম আলোচনা হয়েছে। এখন তো আর আগের মত নেই যে হুমকি দেবে। এখন তো পাশে দাঁড়িয়ে সটান গুলি করে দেয়। তাই আমি বিচারকের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি।”