ফাইল চিত্র।
তলবি নোটিসটা তারা নার্সিংহোমে পাঠিয়েছিল ঠিকই। তবে নার্সিংহোমে গিয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের পথে গেল না সিবিআই। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, ওই পুরকর্তার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ হবে তার পরে।
ইকবাল নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন আছেন জেনেই তো তাঁকে আবার তলব করা হয়েছিল। এ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েও কেন পিছিয়ে এল সিবিআই?
ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, নার্সিংহোমে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তাতে আইনি জটিলতা বিস্তর। সেই জন্যই তাঁর বাড়ি ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ইকবালের শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ইকবালকে ১৫ জুন টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ১৬ তারিখেও সিবিআইয়ের দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলার কথা ছিল। কিন্তু ইকবাল সে-দিন হাজিরা দেননি। আইনজীবীর মাধ্যমে সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, অসুস্থ হয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ায় তাঁর পক্ষে ওই দিন হাজিরা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সুস্থ হওয়ার পরে তিনি হাজিরা দেবেন।
নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনে শাসক দলের বিভিন্ন নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার যে-অভিযোগ উঠেছে, ইকবাল সেই বিষয়ে তদন্তের অন্যতম মূল সূত্র বলে সিবিআইয়ের দাবি। তদন্তকারীদের অভিযোগ, নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও নানা অজুহাতে একাধিক বার গরহাজির থেকেছেন ওই অভিযুক্ত। এর ফলে নারদ-তদন্ত গতি হারাচ্ছে। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, প্রথম থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ইকবাল। সেই জন্য নার্সিংহোমে নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ইকবালের আইনজীবী আবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। প্রয়োজনে নার্সিংহোমে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই। তবে তদন্তকারীরা এ ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন না।