প্রতীকী ছবি
উত্তরবঙ্গের উপর থেকে এখনই সরছে না আশঙ্কার মেঘ। রবিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দাপট কিছুটা কমলেও আরও দিন দুয়েক তরাই-ডুয়ার্সের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলবে। কয়েক দিনের অতিবর্ষণে বানভাসি উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা। বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল। এই পরিস্থিতিতে ভারী বৃষ্টি চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহবিদেরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, আরও কয়েক দিন বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গেও। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনও আশঙ্কা আপাতত নেই। নিম্নচাপ অক্ষরেখার দৌলতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতা এবং অন্যান্য জেলায়।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, মৌসুমি অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশ দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে। আর বিহার ও লাগোয়া উত্তরবঙ্গে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেখান থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। তার দাপটেই চলছে এমন জোরালো বৃষ্টি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে বর্ষা সক্রিয় থাকায় অক্ষরেখার টানে জোলো হাওয়া ঢুকে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করছে। দিল্লির মৌসম ভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই বজ্রগর্ভ মেঘের দাপটেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও এলাকায় এ দিন ভারী বৃষ্টিও হয়েছে।
আরও পড়ুন: যে জন আছে মাঝখানে
এ বছর এপ্রিলেই স্বাভাবিক বর্ষার পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে এসে তাদের তথ্য বলছে, গোটা দেশে স্বাভাবিকের থেকে মাত্র তিন শতাংশ বৃষ্টি-ঘাটতি রয়েছে। তবে বর্ষার ঝুলি এ বার উপচে পড়েছে পূর্ব ভারতে। ১ জুন থেকে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে আট শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে ১৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি মিলেছে। স্বাভাবিকের থেকে ১১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। ‘‘জুলাই থেকে ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখার দৌলতেই টানা বৃষ্টি হয়েছে এ রাজ্যে। তার ফলে জুনের ঘাটতি মিটিয়ে বর্ষণ উদ্বৃত্ত হয়েছে,’’ বলছেন কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের এক বিজ্ঞানী।