যুব নেতৃত্বে মীনাক্ষী, চমক সিপিএমের

পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নেতৃত্বে মহিলা মুখ নিয়ে এল সিপিএমের যুব সংগঠন। ডানকুনিতে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্মেলন থেকে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী পদে এলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নেতৃত্বে মহিলা মুখ নিয়ে এল সিপিএমের যুব সংগঠন। ডানকুনিতে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্মেলন থেকে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী পদে এলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের কুলটির এই যুব নেত্রী বামপন্থী পরিবারের সন্তান। মাতৃভাষার পাশাপাশি হিন্দিতেও চোস্ত। যা সচরাচর বাংলা সিপিএমের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে দেখা যায় না। সম্মেলন শেষে রবিবার ডানকুনি ফুটবল মাঠের সমাবেশে রবিবারই বাংলার সঙ্গে হিন্দিতে ভাষণ দিয়ে তারিফ কুড়িয়েছেন মীনাক্ষী। প্রখর রোদ এবং গরমে সমাবেশে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতোই।

Advertisement

এ বারের যুব সম্মেলনে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক পদে এসেছেন সায়নদীপ মিত্র। তিনিই ছিলেন রাজ্য সভাপতি। সায়নদীপই সিপিএমে সেই বিরল মুখ, যিনি এসএফআইয়ের সম্পাদক ও সভাপতি— দুই পদেই থেকেছেন। আবার যুব সংগঠনেও তা-ই! তাঁর কথায়, ‘‘দল যা দায়িত্ব দিয়েছে, পালন করতে হবে। কঠিন সময়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’’ বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক জামির মোল্লার মতোই এক ধাক্কায় ১৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ২৫ জনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে। নতুন ৯৩ জনের রাজ্য কমিটি থেকেও সরানো হয়েছে পুরনো ৭০ জনকে। সিপিএম সূত্রের বক্তব্য, যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীতেও এখন মহিলা মুখ নেই। সে দিক থেকে বাংলা নজির গড়ল। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ তাঁদের কাজে আসবে বলে সিপিএম নেতৃত্বের আশা। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে সিটুর সর্বভারতীয় সভানেত্রী হয়েছেন প্রথম মহিলা, কে হেমলতা।

সমাবেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, যুবরাই ভবিষ্যৎ। কেন্দ্রে বিজেপি এবং রাজ্যে তৃণমূল একই মুদ্রার দুই পিঠ হিসেবে কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুবদের বড় ভূমিকা নিতে হবে। হুগলি জেলায় গিয়ে সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ এনে সূর্যবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে যাচ্ছেন। কিন্তু কোথায় শিল্প? কোথায় কাজ? এখন এসে দেখে যান সিঙ্গুরে! সুখে আছেন সিঙ্গুরের মানুষ?’’ নতুন যুব সভানেত্রী মীনাক্ষী বলেন, ‘‘হাজারে হাজারে ছেলেমেয়ে বেকার। তাঁরা স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় ভুগছেন। খালি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি! কলেজগুলো আজ তোলাবাজদের আখড়া!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement