NRS

দেহ বদল, সৎকারের পরে রাতে গোলমাল নীলরতনে

এনআরএস সূত্রের খবর, সোমবার মৌসুমী বসু (৪০) এবং বিমলা রায় (৫০) নামে দু’জন রোগিণীর মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-আবহে একই দিনে দুই মাঝবয়সি রোগিণীর মৃত্যু। দুই মৃতদেহ অদলবদল এবং একটি দেহ সৎকারের জেরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তুলকালাম কাণ্ড! শেষ পর্যন্ত রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা চিকিৎসক শান্তনু সেনের হস্তক্ষেপে মিটমাট হয়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নিমতলা শ্মশানে দুই মহিলারই দেহ পঞ্চভূতে মিশে যায়।

Advertisement

এনআরএস সূত্রের খবর, সোমবার মৌসুমী বসু (৪০) এবং বিমলা রায় (৫০) নামে দু’জন রোগিণীর মৃত্যু হয়। দু’জনেই মহিলা মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক জন বেলেঘাটার বাসিন্দা, অন্য জনের বাড়ি নারকেলডাঙায়। কারও সঙ্গেই করোনার সম্পর্ক নেই। বিকেল ৪টেয় বিমলাদেবীর স্বজনেরা দেহ নিতে হাসপাতালের মর্গে যান। অভিযোগ, তাঁদের হাতে দেওয়া হয় মৌসুমীদেবীর দেহ! আত্মীয়েরা চিনতে পারলেন না কেন? হাসপাতালের খবর, এক আত্মীয়কে দেহ দেখানো হয়েছিল। বিমলাদেবীর পরিবর্তে মৌসুমীদেবীকেই স্বজন বলে দাবি করেন তিনি। মৌসুমীদেবীর দেহ নিয়ে বিমলাদেবীর স্বজনেরা নিমতলা শ্মশানঘাটে চলে যান এবং সেখানে নিয়ম মেনে সৎকার সম্পন্ন হয়।

সন্ধ্যায় মৌসুমীদেবীর স্বজনেরা দেহ নিতে এলে গন্ডগোল শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, মর্গের সংশ্লিষ্ট কর্মী নথি মিলিয়ে দেখেননি কেন? বিমলাদেবীর আত্মীয়দের ডেকে পাঠানো হয়। এনআরএস সূত্রের খবর, দেহ চিনতে যে ভুল হয়েছে, প্রথমে তা মানতে চাননি বিমলাদেবীর আত্মীয়েরা। এই নিয়ে ঘণ্টা কয়েক তর্কাতর্কির পরে ধরা পড়ে, সত্যিই দেহ বদল ঘটেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: থানকুনি খেলেই করোনা সারবে? ফোন হেল্পলাইনে

খবর যায় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনুবাবুর কাছে। চলে আসে পুলিশও। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তৃণমূলের সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনুবাবু দু’পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। নিমতলা শ্মশানে দুই পরিবারই যাতে নিজেদের আত্মীয়ার ডেথ সার্টিফিকেট পায়, তার ব্যবস্থা করা হয়। গভীর রাতে বিমলাদেবীর দেহ নিমতলাতেই সৎকার করা হয়।

দেহ-বিভ্রাট প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে শান্তনুবাবুকে ফোন করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। ‘‘কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিটে গিয়েছে,’’ বলেন হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ তথা সুপার তরুণ পাঠক।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন