সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ় আফতাব। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষিত হয়েছে রবিবার। তার পরেই রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর। ওই দফতরের খবর, সাধারণ ভাবে প্রস্তুতির পর্ব অনেক আগেই শুরু হয়েছে। তবে সেগুলো মূলত ছিল দফতরের অন্দরমহলের ব্যাপার। এ বার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিজেদের ঘর ঘোচানোর সঙ্গেই থাকছে বিভিন্ন দলের মুখোমুখি হওয়ার পালা।
এ দিন ভোটের সবিস্তার দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই নিয়ম অনুযায়ী দেশ জুড়ে ‘মডেল কোড অব কন্ডাক্ট’ বা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ হয়েছে। এই বিষয়ে আজ, সোমবার বিকেলে রাজ্যের স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কথা মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) এবং তাঁর দফতরের অন্য কর্তাদের। এই ধরনের বৈঠক করতে সব রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের খবর।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১১ এপ্রিল। তার আগে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ রাজ্যে সেই প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ। ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে আজ বিভিন্ন জেলার ভারপ্রাপ্ত ভোটকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন রয়েছে সিইও দফতরের।
রাজ্যে ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে বলেই এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাব। তবে
শেষ পর্যন্ত মোট ক’জন পর্যবেক্ষক বাংলায় আসবেন, সেই বিষয়ে এখনই পিরষ্কার ভাবে কিছু জানাতে পারছেন না তিনি। সিইও জানাচ্ছেন, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে ‘জেনারেল অবজার্ভার’ বা সাধারণ পর্যবেক্ষক, ‘এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার’ বা ব্যয়-পর্যবেক্ষক তো থাকছেনই। স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ পর্যবেক্ষকও দেওয়া হয়। তবে এ বার সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। এ বারের ভোটে বিশেষ পর্যবেক্ষকও থাকবেন বলে জানিয়েছে কমিশন। সিইও-র দফতর জানায়, প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।