বছর আটেক আগে লড়াইটা শুরু হয়েছিল কলকাতার নামজাদা মিষ্টি-স্রষ্টাদের নিয়ে। এখন সেই প্রতিযোগিতা গোটা রাজ্যেই মিষ্টি-সংস্কৃতির মোড় ফিরিয়ে দিচ্ছে।
‘ক্যাডবেরি মিষ্টি’-র মহিমা মিশে যাচ্ছে ঘরোয়া ‘চকো শেফ’-দের সৃষ্টিশীলতার খোলা মাঠেও। আনন্দবাজার পত্রিকা-র উদ্যোগে বচ্ছরকার ‘ক্যাডবেরি মিষ্টি, সেরা সৃষ্টি’-র হেঁশেল এখন পাড়ি দিচ্ছে শহরের পাড়ায় পাড়ায়। দমদম পার্ক থেকে খিদিরপুর, বেহালা থেকে গড়িয়া— ঘুরে ঘুরে চলছে ঘরোয়া চকো শেফদের আবিষ্কার-পর্ব। বাছাই করা ১৫টি পাড়ায় কিংবা তেঘরিয়া থেকে গড়িয়া পর্যন্ত আবাসনে আবাসনেও চকো শেফদের খুঁজছেন ক্যাডবেরি মিষ্টি-র সন্ধানীরা।
কেউ চাইলে নিজে ৯৭০০০৮০৬৬৬ নম্বরে মিস্ড কল দিয়েও সামিল হতে পারবেন এই সম্ভাবনাময় চকো শেফদের দলে। এর পরে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে নিজেদের রেসিপি পাঠাতে হবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা তো বটেই, আসানসোল, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি থেকে ৩৫টি মিষ্টি ব্র্যান্ডের ৬৫টি দোকানও এই সৃষ্টিশীলতার যজ্ঞে রয়েছে। দোকানের শোকেসে থরে থরে সাজানো নানা কিসিমের ক্যাডবেরি মিষ্টি। চকো শেফদের উস্কে দিতে সেখানেও রয়েছেন উদ্যোক্তারা। বাছাই করা ৫০ জন চকো শেফকে আগামী ২০ এপ্রিল ডাকা হবে দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলে। ২০-২২ এপ্রিল ক্যাডবেরি মিষ্টি-র প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সেখানে বসবে মিষ্টিমেলা। ২২ এপ্রিল সেরা ক্যাডবেরি মিষ্টির পুরস্কার দেওয়া হবে কৃতী মিষ্টি বিপণীগুলিকে। সেরা ক্যাডবেরি মিষ্টি স্রষ্টার সম্মান পাবেন সেরা চকো শেফ। এই লক্ষ্য সামনে রেখে শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানো। বাঙালির ঘরে ঘরে বিস্মৃত নাড়ু, চন্দ্রপুলি, ক্ষীরতক্তি তৈরির স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়ে এখন সৃষ্টিশীলতায় মাতোয়ারা ঘরোয়া চকো শেফেরা।