ভারতী ঘোষ
অন্য কয়েকটি মামলার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে সোনা প্রতারণা মামলায় উদ্ধার হওয়া সাড়ে চার কোটি নগদ টাকার সঙ্গেও নাম জড়িয়েছে ওই জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের। ওই টাকার উৎস খতিয়ে দেখতে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলছে সিআইডি। তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই মামলায় ধৃত পুলিশ অফিসারেরা ওই টাকার উৎসের বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য দিয়েছেন। তাই প্রকৃত উৎস জানতে আদালতে আবেদন করা হচ্ছে।
সিআইডি-কর্তারা জানান, এই মামলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আনন্দপুর থানার মাদুরদহ এলাকার একটি আবাসনের খালি ফ্ল্যাটের আলমারি থেকে আড়াই কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই একই মামলার সূত্রে নেতাজিনগর রোডের একটি খালি ফ্ল্যাটের আলমারি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ দু’কোটি টাকা। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাট-মালিকদের দাবি, ওই টাকা তাঁদের নয়। ভারতী, তাঁর স্বামী এমএভি রাজু এবং ভারতীর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল যোগসাজশেই ওই টাকা রাখা হয়েছিল। দুই ফ্ল্যাটের মালিকেরা ভারতী, রাজু ও সুজিতের বিরুদ্ধে আনন্দপুর ও নেতাজিনগর থানায় অভিযাগ দায়ের করেছেন। ওই দু’টি মামলায় জামিনও পেয়েছেন রাজু।
সিআইডি-কর্তাদের কথায়, দু’টি ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত সাড়ে চার কোটি টাকার বান্ডিলে দু’হাজার, পাঁচশো এবং একশো টাকার নোট রয়েছে। ওই সব নোটের বান্ডিলে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি ব্যবসায়িক সংস্থার স্টিকারও রয়েছে। নোটের বান্ডিলে থাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই সব ব্যবসায়িক সংস্থার মালিকদের এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক-এক জন সুনীল আমরাই, বলছেন দিলীপ
সিআইডি-র এক কর্তার কথায়, তল্লাশির পরেই টাকার বান্ডিলগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের স্টিকার-সহ নোটের বান্ডিলের বিষয়ে তদন্ত করতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। অভিযোগ, মূলত নোটবন্দির সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা তোলা হয়েছিল।
ওই টাকার বিষয়ে ভারতী বলেন, ‘‘আমি উচ্চ থেকে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছি।’’