সিআইডি রিপোর্টে রূপা ও কৈলাস

এর আগে শিশু পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত চন্দনা চক্রবর্তী তাঁদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। এ বার সিআইডি-র রিপোর্টেও লেখা হল বিজেপি-র রাজ্যসভা সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম। বিজেপি বিষয়টিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসাবেই দেখছে। ফেসবুকে মমতার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার একটি খোলা চিঠি পোস্ট করে সেই অভিযোগ তুলেই সমালোচনা করেছেন কৈলাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

এর আগে শিশু পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত চন্দনা চক্রবর্তী তাঁদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। এ বার সিআইডি-র রিপোর্টেও লেখা হল বিজেপি-র রাজ্যসভা সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম। বিজেপি বিষয়টিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসাবেই দেখছে। ফেসবুকে মমতার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার একটি খোলা চিঠি পোস্ট করে সেই অভিযোগ তুলেই সমালোচনা করেছেন কৈলাস।

Advertisement

শিশু পাচার-কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে বুধবার আদালতে তোলার সময় সিআইডির দেওয়া রিপোর্টে রূপা এবং কৈলাসের নাম রয়েছে। সেখানে আরও লেখা হয়েছে, জুহি চন্দনাকে দিল্লি নিয়ে যান। চন্দনা কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে নানা ‘দাবি’ পেশ করেন। চন্দনার ‘দাবি’ মেটাতে দিল্লিতে রূপা এবং কৈলাসের সঙ্গেও দেখা করিয়ে দেন জুহি। সিআইডি রিপোর্টে বিজেপি-র ওই দুই নেতা-নেত্রীর নাম থাকায় তাঁদেরও জেরা করা হবে কি না, তা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা চলছে। রূপাকে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

জুহি যে চন্দনাকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন, তার প্রমাণ হিসেবে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসে ঢোকার একটি ‘পাস’ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে জুহি এবং চন্দনার ছবি রয়েছে। সিআইডি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে মোটা অনুদান পাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন চন্দনা। বিনিময়ে চন্দনার থেকে মোটা টাকা দাবি করেছিলেন জুহিও।

Advertisement

কৈলাস ফেসবুকে লিখেছেন, এ রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসন তৃণমূলের হাতের পুতুল। বাংলায় বিজেপি-র ভোট বাড়ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। সে জন্যই বিজেপি নেতাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। কৈলাসের সংযোজন, ‘আপনি চক্রান্ত করে ঘৃণ্য অপরাধে যুক্ত এক জনকে দিয়ে রূপাজি এবং আমার নাম বলিয়েছেন’। সিআইডি-র দাবি, জুহির বাড়ি থেকে ১৭টি শিশুর ছবি মিলেছে। সেগুলিতে চন্দনার হোমের রবার স্ট্যাম্প লাগানো ছিল। তবে সেগুলির কয়েকটির তথ্য হোমের নথিতে নেই। তদন্তকারীদের দাবি, ওই শিশুগুলিকেও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। দত্তক দেওয়ার সরকারি অনুমোদন না থাকায় হোমের নথিতে তার উল্লেখ নেই। ভুয়ো নথি বানিয়েই শিশুগুলিকে বিক্রি করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন