লোকসভা ভোটের আগে নদিয়ায় পরপর তৃণমূলের যুব নেতাদের খুনের ঘটনায় বারবার বিজেপির নাম জড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রথমে খুন বিধায়ক তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস এবং তার এক মাসের মধ্যে চাকদহের যুব তৃণমূল নেতা সুধীন সোম।
লোকসভা ভোটের আগে নদিয়ায় পরপর তৃণমূলের যুব নেতাদের খুনের ঘটনায় বারবার বিজেপির নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। বিধায়ক খুনের তদন্তে জেরা করতে শুক্রবার বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি জগন্নাথ সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। যদিও তিনি যাননি।
তৃণমূলের অভিযোগ, জেলায় জমি শক্ত করতে বেছে-বেছে সংগঠনে দক্ষ নেতাদের খুন করাচ্ছে বিজেপি। যদিও বিজেপি এই দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, এই সব খুন তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। ঘটনাচক্রে, এ দিনই কলকাতায় ভবানী ভবনে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর বাবাকে সিআইডি জেরা করেছে। সুধীন সোম খুনে অভিযুক্ত শুভঙ্কর মজুমদার বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত। যদিও এই খুন ‘রাজনৈতিক’ কি না তা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু সত্যজিৎ খুনের ঘটনায় এই দাবি অনেক জোরালো। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া মুকুল রায়ের নামেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
সিআইডি সূত্রের দাবি, সত্যজিৎ খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারীর সঙ্গে জগন্নাথের বেশ কয়েক বার ফোনে কথা হয়েছিল। কী নিয়ে কথা হয়েছে, তা জানতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। এ দিন তাঁর সাংগঠনিক কিছু কাজ আছে জানিয়ে তিনি জেরায় হাজিরা দেননি। কলকাতায় বিজেপির কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা জানান, অন্য এক দিন তাঁকে ডাকা হবে। জগন্নাথ বলেন, ‘‘যে দিন ওরা ডাকবে, সে দিনই যা জানানোর জানাব।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্বে খুন হচ্ছে আর ওরা পুলিশকে চাপ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করাচ্ছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের পাল্টা, ‘‘ওই খুনে যারা ধৃত, সকলেই পরিচিত বিজেপি কর্মী। এক জনের বাড়ি থেকে আরএসএস-এর কাগজও মিলেছে।’’