ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাচ্ছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। —নিজস্ব চিত্র
বিজেপির সভা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা। বাঁশ, লাঠি দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।অনুমতি ছাড়া ওই সভা করতে গেলে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বাধা দেয়। আর সেখান থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। বিজেপির দাবি, অনুমতি চাওয়া হলেও পুলিশ তা দেয়নি। অন্য দিকে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের সগড়ভাঙায় পুরনো বিডিও অফিসের মাঠে বিজেপির সভা হওয়ার কথা ছিল।সেই সভার জন্য পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অনুমতিও চাওয়া হয় বলে বিজেপির দাবি। কিন্তু, পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি।এ দিন সকাল থেকে ওই মাঠে সিভিক ভলান্টিয়াররা জড়ো হতে শুরু করেন। গোটা মাঠ কার্যত ঘিরে ফেলেন তাঁরা। পাশাপাশি আসতে থাকেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরাও।
সিভিক ভলান্টিয়াররা বিজেপি কর্মীদের মাঠে ঢুকতে বাধা দিতেই শুরু হয় গন্ডগোল।মারমুখী হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। বাঁশ, ঝান্ডার লাঠি নিয়ে সিভিক পুলিশের কর্মীদের মারধর শুরু করেন তাঁরা। ভয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান সিভিক পুলিশ কর্মীরা। এর পর একটি ট্রেলারের উপর অস্থায়ী মঞ্চেই বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতারা।
সগরভাঙার সভায় দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: ভাবা হচ্ছে ‘নিরাপদ’ আসনের কথা, ডায়মন্ড হারবারে আর দাঁড়াচ্ছেন না অভিষেক?
রবিবারই দিলীপবাবু হুগলির গুড়াপে একটি সভায় হুমকি দেন, সভা করার অনুমতি না দেওয়া হলে, জোর করে সভা করা হবে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আগেই বলেছিলাম, সভা করবই। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বিনা অনুমতিতে সভা করতে হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের হাত ধরলেন চন্দ্রবাবু, সব বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক
দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘যে মাঠে সভার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, সেই মাঠ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তাই আমরা সভারঅনুমতি দিইনি। ওখানে বেআইনি সভা হচ্ছিল বলে বাধা দেওয়া হয়। তবু জোর করে মাঠে ঢোকেন একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশের উপর চড়াও হন তাঁরা। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’