জ্বলছে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি। ছবি: সুব্রত জানা
লোকসভা উপ-নির্বাচনের মুখে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তেতে উঠল উলুবেড়িয়ার কাঁটাবেড়িয়া কয়ালপাড়া এলাকা। সোমবার বিকেলের ওই ঘটনায় আহত হন কয়েকজন। তিনটি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের প্রতি হামলার অভিযোগ তুলেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে উলুবেড়িয়া শহরে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির একটি পদযাত্রা ছিল। তাতে সামিল হওয়ার জন্য কয়ালপাড়া গ্রামে জনাবারো বিজেপি কর্মী-সমর্থক জড়ো হন। একটি পিক-আপ ভ্যানে করে তাদের পদযাত্রায় যাওয়ার কথা ছিল। এই সময় কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সেখানে চলে আসেন। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দু’পক্ষ পরস্পরের দিকে ইট ছুড়তে থাকে।
সমীর খাঁ নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথায় লাঠি-বাঁশ ও রড দিয়ে মারা হয় এবং পিকআপ ভ্যানটি ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে পেট্রল ঢেলে তিনটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। ঝন্টু মণ্ডল এবং মেট্টো মণ্ডল নামে দুই বিজেপি সমর্থকের বাড়ি পুড়ে যায়। অর্জুন পর্বত নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িও পুড়ে যায়। ঝন্টু মণ্ডলের আত্মীয়, বিজেপি কর্মী বিপ্লব দলুই অগ্নিদগ্ধ হন। তিনি ঝন্টুর বাড়ির দিকে গেলে আগুনের তাপে ঝলসে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং র্যাফ এলে সবাই পালায়। ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়া থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
পুলিশ সমীর খাঁ এবং বিপ্লব দলুইকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম মল্লিক। পদযাত্রার শেষে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে শাসকদল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি দলের সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ।
পক্ষান্তরে, শাসকদলের পক্ষে হাওড়া (গ্রামীণ) জেলার তৃণমূল সভাপতি পুলক রায় বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে জমানত খোয়ানোর ভয়ে বিজেপি গোলমাল পাকাচ্ছে। আমাদের দলীয় কর্মীদের মারধর করেছে। বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।’’