বারাসতে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ডেঙ্গিতে প্রশাসনের দায়িত্ব আছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য বুধবারেই বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছর সল্টলেক-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের অভাবে ডেঙ্গির দাপট বেড়েছে। কিন্তু ডেঙ্গি নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য বিএসএফ, সিআরপি-র মতো নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর আবাসনে ঢুকতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর কিংবা পুর প্রশাসন। এ বার কারা এই নজরদারির দায়িত্ব থাকবে, সেটা নিশ্চিত করতে মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন বিধানসভায় ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য, পঞ্চায়েত, নগরোন্নয়ন দফতর এবং কলকাতা-বিধাননগরের পুরকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা।
বৈঠকের পরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, পঞ্চায়েত ও পুর দফতরকে নিয়ে রাজ্য জুড়ে বছরভর নজরদারির কাজে নামছে স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন দফতরের প্রায় ৯১ হাজার কর্মীকে এই কাজে নামানো হবে। কোন এলাকায় কী ধরনের জ্বর হচ্ছে, সেই তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে থাকবে। তথ্য সংগ্রহে নতুন সফটওয়্যারও ব্যবহার করা হবে। কোনও এলাকায় একই ধরনের জ্বর বারবার হলে তথ্য বিশ্লেষণ করে ওই সফটওয়্যার তা জানিয়ে দেবে।
ডেঙ্গি নির্ণয়ে রাজ্যে এখন ৩২টি গবেষণাগার রয়েছে। আরও ন’টি গবেষণাগারে এলাইজা পরীক্ষার যন্ত্র দেওয়া হবে বলে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।