CM Mamata Banerjee

‘সেই আইন’ রাজ্যে বলবৎ হবে না, তা হলে হিংসা কেন? উস্কানি দিলে রেয়াত নয়, শান্তি বজায় রাখতে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার

কয়েক দিন আগে নেতাজি ইন্ডোরে মহাবীরজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত জৈন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই মমতা বলেছিলেন, বাংলায় কেউ ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নিতে পারবে না। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা ছিল, ‘‘মনে রাখবেন, দিদি থাকতে আপনাদের সম্পত্তি যাবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৯
Share:

রাজ্যবাসীকে শান্তিরক্ষার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।

ওয়াকফ আইন নিয়ে বাংলার একাধিক জায়গায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও তা হিংসাত্মক আকারও নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে শান্তিরক্ষার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, স্পষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে, ‘সেই আইন’কে রাজ্য সরকার সমর্থন করে না। বাংলায় তা বলবৎও হবে না। তা হলে হিংসা কেন? প্রশাসক মমতা এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হিংসায় যাঁরা উস্কানি দিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘‘সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে।’’ রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের কথাও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘‘কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমি মনে করি, ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি। সকলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন— এই আমার আবেদন।’’

মমতার এই বার্তা প্রকাশ্যে আসার খানিক আগেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমও রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছেন গুজবে কান না দেওয়ার। বিভিন্ন জায়গায় ‘গুজবের কারখানা’ চলছে বলেও উল্লেখ করেন জাভেদ। মুখ্যমন্ত্রীর মতোই পুলিশের শীর্ষকর্তারাও জানিয়েছেন, চিহ্নিত করে উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

Advertisement

নয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটিতেও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার সংঘাতে জড়িয়েছিলেন। বিল আইনে পরিণত হওয়ার পরে অমুসলিম প্রথম মহিলা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কয়েক দিন আগে নেতাজি ইন্ডোরে মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত জৈন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই মমতা বলেছিলেন, ‘‘বাংলায় কেউ ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নিতে পারবে না।’’ সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা ছিল, ‘‘মনে রাখবেন, দিদি থাকতে আপনাদের সম্পত্তি যাবে না।’’ কিন্তু তার পরেও উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার পরিবর্তে কোথাও কোথাও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটেই মমতা আরও এক বার বার্তা দিলেন, আইন রাজ্যে বলবৎ হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement