বাড়ির পাশের পুলিশ দফতরের বিশ্বকর্মা পুজোতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে যে পুলিশ কার্যালয় রয়েছে, বুধবার বিশ্বকর্মা পুজো হল সেখানে। পুজোর সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। ছিলেন মহিলা পুলিশকর্মীরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, তৃণমূল ভবনেও বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছে। সেখানে পুজো করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এ বার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে সমস্ত সরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে মমতা লেখেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানাতেই রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। তাঁর লেখায়, ‘সকলকে জানাই বিশ্বকর্মা পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা। এবারে আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোতে রাজ্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছি।’
বাড়িতে প্রতি বার কালীপুজো করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পুজোয় সারা দিন উপবাস রেখে সন্ধ্যায় নিজে হাতে ভোগও রাঁধেন মমতা। এ বার বাড়ির পাশের পুলিশ দফতরে বিশ্বকর্মা পুজোতেও অংশ নিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা বসেন এই কার্যালয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই আসলে দুর্গাপুজোর উৎসব শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার এসএসকেএমে উডবার্ন ওয়ার্ডের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনেও সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছিলেন মমতা। বুধবার সশরীরে যোগ দিলেন বিশ্বকর্মাপুজোয়। বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে রাজ্য সরকার পৃথক প্রকল্পও ঘোষণা করেছে। সেই আবহে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বকর্মাপুজোয় অংশগ্রহণ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন অনেকে।