(বাঁ দিকে) নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কী। (ডান দিকে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
‘জেন জ়ি’ আন্দোলনে উত্তপ্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, প্রতিবেশী হিসাবে সর্বদা বাংলার পাশে থেকেছে নেপাল। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সেই সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কীকে অভিনন্দন জানালেন তিনি। সেই সঙ্গে জানালেন, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা অটুট থাকবে।
শনিবার সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা লেখেন, ‘‘নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমি মাননীয় সুশীলা কার্কীকে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নেপালের সীমান্ত রয়েছে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। আমরা প্রতিবেশী হিসাবে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার গভীর বন্ধন লালন করার জন্য উন্মুখ।’’
উল্লেখ্য, নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন সুশীলা। এ বার নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ৭২ বছরের সেই সুশীলাই। গত শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের উপস্থিতিতে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। গত মঙ্গলবার ওলির ইস্তফার পরে প্রাথমিক ভাবে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ পরবর্তী সরকার প্রধান হিসেবে কাঠমান্ডুর নির্দল মেয়র এবং সে দেশের জনপ্রিয় র্যাপার বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেনের নাম প্রকাশ্যে আনলেও শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলাকেই সমর্থন করেন ওলি সরকারকে গদিচ্যুত করা আন্দোলনকারীদের বড় অংশ। সুশীলাকে আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের জন্য মাননীয়া সুশীলা কার্কীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। নেপালের মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির জন্য ভারত দৃঢ় ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ সুশীলাকে স্বাগত জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী, গণতন্ত্রের সহযোগী এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে দুই দেশের জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির স্বার্থে ভারত নেপালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত থাকবে।’’