Mamata Banerjee

‘জেলে থাকলেও বাংলায় তৃণমূলকে জেতাব’, বাঁকুড়া থেকে চ্যালেঞ্জ মমতার

বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়-ভীতির রাজনীতির অভিযোগ তুলে মমতা  চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘‘ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি জেলে থাকলেও তৃণমূলকে জেতাব।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪৭
Share:

বাঁকুড়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

বাঁকুড়ার সভা থেকে বিজেপি, বাম, কংগ্রেসকে এক সারিতে বসিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে হারাতে তিন দল এক হয়েছে বলে শুনকপাহাড়ীতে দলের কর্মিসভায় অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘‘জগাই,-মাধাই-গদাই এক হয়েছে।’’ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। ভোট এলেই সারদা-নারদার ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে মমতার চ্যালেঞ্জ, তিনি জেলে থাকলেও দলকে জেতাবেন।

Advertisement

গত বছর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের আসন কমেছে। আশাতীত সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ভোটের সেই পরিসংখ্যান থেকেই বিধানসভা ভোটে জয়ের জন্য ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এক হয়ে লড়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘‘জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে এক সাথে কাজ করেছে। এক সাথে ভোট দিয়েছে। আমি জানি এরা কারা, যে হার্মাদরা আপনাদের উপর অত্যাচার করেছিল, তারাই বিজেপিতে গিয়েছে।’’

ভোট এলেই সারদা-নারদা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তৃণমূল নেতাদের জেলে পোরার অভিযোগ তৃণমূলের নতুন নয়। এ দিন ফের এ নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন এলেই সারদা-নারদা নিয়ে ভয় দেখায়। যাতে ভয় পেয়ে অনেকেই ওঁদের দলে যোগ দেয়। অনেককেই ভয় দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘ঘরে থাক, নয়তো জেলে থাক’।’’ এর পরেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা বলেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন। আমি জেলে থাকব। জেলে থেকে বাংলায় তৃণমূলকে জেতাব। এই চ্যালেঞ্জ করে গেলাম।’’ একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাঁকুড়ার এক একটা আসন বুঝে নেব। একটা আসনও বিজেপি পাবে না।’’

Advertisement

সম্প্রতি পাঁচ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে রাজ্যে দল ও নির্বাচনের কাজে নিয়োগ করেছে বিজেপি। তা নিয়ে ‘বহিরাগত’ খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রীও এ দিন এ নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বন্যা, খরা, কোভিডে পাত্তা নেই, মাওবাদী আন্দোলন দমনে পাত্তা নেই। আর আজ যখন মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে, তখন দিল্লি কা লাড্ডু কয়েকজনকে পাঠিয়েছে। তারা বাংলার লোক নয়, বাইরের লোক।’’

আরও পড়ুন: বিহারে স্পিকার পদ দখলে নিয়ে ‘চক্রব্যূহ’ দৃঢ় করল বিজেপি

কয়েক দিন আগে বাঁকুড়ায় এসে আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই ‘মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি’কে ফের কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘ফাইভ স্টার হোটেলের রান্না করা বাসমতি চালের ভাত খেয়ে লোক দেখাচ্ছে। ছবি তোলার জন্য এ সব করছে।’’ বাঁকুড়া সফরের গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রীও একটি আদিবাসী পাড়ায় গিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘আমিও তো গিয়েছিলাম। আদিবাসী বাড়িতে। তাঁদের খাটিয়ায় বসেছিলাম। তাঁদের সঙ্গে কথা বললাম।’’

পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে ভোটে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন এলেই দেখবেন, আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দিচ্ছে। কেউ ১০ হাজার, কেউ ৫ হাজার দিচ্ছে। আমি তো শুনেছি, কেন্দ্রের তদন্তকারী একাধিক সংস্থার লোকদের দিয়েও টাকা দেওয়া হয়। সবাই নয়, কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশও এতে জড়িত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement