High Court

শান্তিনিকেতনে পৌঁছল কোর্ট-গঠিত কমিটি

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২২
Share:

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বভারতীর সাম্প্রতিক ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে সংশ্লিষ্ট সব মহল স্বাগত জানিয়েছে। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

Advertisement

বিশ্বভারতী সংক্রান্ত সাম্প্রতিক বিতর্কের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে শুক্রবার চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। সূত্রের খবর, কমিটির একাধিক সদস্য় শনিবার সন্ধ্যাতেই শান্তিনিকেতনে পৌঁছেছেন। আজ, রবিবার তাঁরা কাজ শুরু করবেন।

ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিশ্বভারতীতে কোনও নির্মাণকাজ, পুরনো কোনও নির্মাণ ভাঙা বা সংস্কার, বিশ্বভারতীর জমিতে থাকা কাঠামো সরানো সংক্রান্ত কোনও কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কমিটির অনুমোদন ছাড়া করতে পারবেন না। বিশ্বভারতীর জমি চিহ্নিত হওয়ার পরে তা সুরক্ষিত রাখতে কমিটির পরামর্শ মেনে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরতে হবে।

Advertisement

পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে গত ১৭ অগস্ট বিশ্বভারতীতে তুলকালাম বাধে। উত্তেজিত জনতা মাঠের নির্মীয়মাণ পাঁচিল ও গেট ভেঙে দেয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি এবং রাজ্য পুলিশ পাঁচিল ভাঙার তদন্তে নেমেছে। যদিও হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পাঁচিল ভাঙার ঘটনা সংক্রান্ত যেসব অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেগুলি নিয়ে আপাতত পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। তবে, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, “আদালতের রায় পেয়েছি। সেই রায়কে সম্মান জানাই।’’ মেলামাঠে ভাঙচুরের ঘটনায় শাসকদলের বিধায়ক-সহ কয়েক জন নেতার নামে অভিযোগ হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, “আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। আশা করি, নবনিযুক্ত কমিটি তাদের গৃহীত সিদ্ধান্তে রবীন্দ্র ভাবাদর্শ এবং শান্তিনিকেতনকে নিয়ে স্থানীয়দের আবেগকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে।’’ আশ্রমিকদের একাংশের আবার দাবি, “আদালতের এই রায়ে প্রমাণ হয়ে গেল, পাঁচিল নির্মাণ অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধ।’’ শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসার পরেই পৌষমেলার মাঠ সংলগ্ন হস্তশিল্প বাজারের সামনের রাস্তায় আতসবাজি ফাটিয়ে উচ্ছ্বাস প্রদর্শন করেন মাঠ বাঁচাও কমিটির সদস্যেরা। শনিবার সকালে বোলপুর চৌরাস্তা মোড়ে লাড্ডু বিতরণ করে কমিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন