Visva Bharati

শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী আলাদা করার চক্রান্ত, নালিশ

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হিসাবে আসার পর থেকেই আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের একাংশের সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের লাগাতার সংঘাত লেগে থেকেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:০১
Share:

ফাইল চিত্র।

শান্তিনিকেতন থেকে বিশ্বভারতীকে পৃথক করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদের একাংশ। শনিবার রতনপল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের দাবি, যে ভাষায় লাগাতার আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের আক্রমণ করছেন উপাচার্য, তা বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যের পরিপন্থী।

Advertisement

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হিসাবে আসার পর থেকেই আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের একাংশের সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের লাগাতার সংঘাত লেগে থেকেছে। পাঁচিল, রাস্তা-সহ নানা বিষয়ে তা সামনে এসেছে। সেই বিষয়গুলি নিয়েই একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করেন আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা। একটি বিবৃতি দিয়ে তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘‘জন্মলগ্ন থেকেই শান্তিনিকেতন আশ্রমের সঙ্গে বিশ্বভারতী ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই সহজ ঐতিহাসিক সত্য বিশেষ অভিপ্রায় নিয়ে ধ্বংস করার ও বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা তিনি (উপাচার্য)
করে চলেছেন। শতাব্দীপ্রাচীন আলাপিনী মহিলা সমিতিকে গৃহহীন করা তারই পরিচায়ক।’’

প্রাক্তনী কুন্তল রুদ্রের দাবি, “পড়ুয়াদের সামনে আশ্রমিক, প্রাক্তনী বা অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের যে ভাষায় হেয় করেন উপাচার্য, তা বিশ্বভারতীর সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।’’ এ বিষয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেও তিনি জানান।

Advertisement

বিশ্বভারতীর নতুন মহিলা সমিতি গঠন করার দিন উপাচার্য বলেছিলেন, বিশ্বভারতীতে ইতিপূর্বে কোনও মহিলা সমিতি ছিল না। এ দিন সে প্রসঙ্গে আলাপিনী মহিলা সমিতির সভানেত্রী অপর্ণা দাস মহাপাত্র বলেন, “বিশ্বভারতীর বিভিন্ন চিঠিপত্রে আলাপিনীর সঙ্গে বিশ্বভারতীর নিবিড় যোগাযোগের প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন যে দু’টি পৃথক সত্তা নয় বরং একে অপরের পরিপূরক, তা বর্তমান উপাচার্য বুঝতেই চান না।’’

বিভিন্ন বিষয়ে অর্থের অভাবের যে কথা বলা হচ্ছে, তারও প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রাক্তনী ও আশ্রমিক শর্মিলা রায় পোমো বলেন, “বর্তমান বিশ্বভারতী প্রশাসনের মোকদ্দমার খরচ ৩০ লক্ষ টাকা, পাঁচিল নির্মাণের খরচ ৬০ লক্ষ এবং তার পাশে ট্রাস্টির যে বাড়ি তৈরি হতে চলেছে তার খরচ ৩০ লক্ষ। এর পরেও মন্দির সংস্কারের জন্য অভাবের কথা বলে যে টাকা চাওয়া হচ্ছে, তা একেবারেই মিথ্যাচার।’’ এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন