অ্যাম্বুল্যান্স না ফেরানোর নালিশ দিলীপের বিরুদ্ধে

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির ওই কর্তা প্রিন্স পাঠক আসানসোল আদালতে এসিজেএমের এজলাসে মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মুর্শিদাবাদের একটি সংস্থার কাছ থেকে তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সটি পেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৭
Share:

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।ফাইল চিত্র।

তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রেখে ব্যবহার করছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, অভিযোগ করলেন বার্নপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা। আসানসোল আদালতে মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি মামলা করেছেন তিনি। যদিও দিলীপবাবুর দাবি, ওই সংগঠনের কর্মীরা সেটি তাঁকে ব্যবহার করার জন্যই দিয়েছেন। এ সব তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার।

Advertisement

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির ওই কর্তা প্রিন্স পাঠক আসানসোল আদালতে এসিজেএমের এজলাসে মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মুর্শিদাবাদের একটি সংস্থার কাছ থেকে তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সটি পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ সেটি আসানসোলের পরিবহণ দফতরে নিবন্ধীকরণ করানো হয়। তাঁর দাবি, সেই সময়ে তাঁরা বিজেপি-র কর্মী ছিলেন। তাই দলের নেতা তথা খড়্গপুরের বিধায়ক দিলীপ ঘোষকে দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি উদ্বোধন করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্রিন্সের অভিযোগ, ‘‘আমরা দিলীপবাবুর কথা মতো অ্যাম্বুল্যান্সটি খড়্গপুরে পাঠিয়ে দিই। সেখানেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। কিন্তু তার পরে আর আমাদের ফেরত না পাঠিয়ে নিজেই ব্যবহার করা শুরু করেন।’’

প্রিন্সের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে তাঁরা রোগীদের ঠিকমতো পরিষেবা দিতে পারছেন না। কখনও দিলীপবাবুর সঙ্গে দেখা করে, আবার কখনও চিঠি লিখে অ্যাম্বুল্যান্সটি ফেরত চেয়েও পাননি বলে তাঁর অভিযোগ। প্রিন্স আরও জানান, এই টানাপড়েনের মধ্যে মাস আটেক আগে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

এই অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি দিলীপবাবু। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি অ্যাম্বুল্যান্সটি চালাতে পারছিল না বলে সদস্যেরা সেটি আমার কাছে দিয়ে গিয়েছেন। এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও আমার কাছে আছে। সে সব আদালতে দেখাতে পারব।’’ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ওই সংগঠনের সদস্যেরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই কুৎসা করতে প্রায় দু’বছর পরে এই বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দিলীপবাবুর প্রশ্ন, ‘‘শুধু উদ্বোধনের প্রশ্ন থাকলে সেটি তো বার্নপুরেই করা যেত। খড়্গপুরে পাঠাতে হবে কেন?’’ ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তাদের যদিও দাবি, দিলীপবাবুর ইচ্ছাতেই অ্যাম্বুল্যান্সটি খড়্গপুরে পাঠানো হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন