ক’দিন আগেই খড়্গহীন দু’টি গন্ডারের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারপরে গরুমারায় টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করে বন দফতর। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার সাত সকালে ধূপঝোরা বনাঞ্চলে শিকারিরা ঢুকে বুনো জন্তু মারতে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। কুনকি হাতি নিয়ে টহলে যাওয়া বনকর্মীরা সেই শব্দ শুনতে পান। তাঁরাও পাল্টা গুলি চালালে শিকারিরা পালায়।
বন দফতর সূত্রের খবর, সে সময়ে গভীর জঙ্গলে ঢুকে কয়েকজন বনকর্মী দেখতে পান বাইসন, গন্ডাররা এলোপাথাড়ি ছুটছে। তারপরে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে মূর্তি নদীর ধার থেকে বন দফতর ৩ জন সন্দেহভাজনকে ধরে। তাঁদের মধ্যে দু’জন স্থানীয় রিসর্টের নিরীহ কর্মী বলে প্রমাণ মেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় জনকে জেরা করা হচ্ছে। রাত ১০টা সার্চ লাইট জ্বালিয়ে ফের জঙ্গলে তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই তল্লাশি চলছে। এসএসবিরও সাহায্য নিয়েছে বন দফতর। কাছেই জলঢাকা নদী পেরোলেই ভুটান। সেই সীমান্ত রক্ষার কাজ করে এসএসবি।
গত মাসে গরুমারায় দু’টি গন্ডারকে গুলি করে মেরে খড়্গ নিয়ে পালায় উত্তর পূর্ব ভারতের একদল সন্দেহভাজন। গন্ডার দু’টিকে মেরে জঙ্গলে পুঁতে দেয় চোরাশিকারিরা। অসমে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার তদন্তে গিয়ে পুলিশ একটি খড়্গ উদ্ধারের পরে জানতে পারে তা গরুমারা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তখনই তদন্ত শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। কয়েক দিন বাদে হইচই হলে তল্লাশি করতে গিয়ে দু’টি গন্ডারের দেহ মেলে। ওই ঘটনায় একজন রেঞ্জ অফিসার সাসপেন্ড হন। এক জনকে শো-কজ করা হয়। বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন জানিয়েছিলেন, যাঁদের গাফিলতি রয়েছে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, ফের গুলির ঘটনায় আবার নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিকারিদের যেমন ধরা হবেই, তেমনই কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, সেটাও তদন্ত হবে।’’