স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবার জটিলতা তৈরি হয়েছে।
যে সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করাতে চান, তাঁদের আবেদন করার জন্য স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বহু স্কুলেই শিক্ষকেরা আবেদন করার পরে তাঁদের যে ৩০০ টাকা স্বাস্থ্যভাতা দেওয়া হচ্ছে, তা নভেম্বর মাস থেকে কেটে নেওয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নাম নথিভুক্ত হওয়ার পরে একটি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ওই কার্ড দেওয়া থেকেই বিমা চালু হচ্ছে বলে ধরা হবে। শুধুমাত্র আবেদন করলেই নাম নথিভুক্ত হল বলে গণ্য করা হবে না। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা শনিবার জানালেন, এর ফলে যে সব স্কুল ইতিমধ্যেই ওই ৩০০ টাকা কেটে নিয়েছে তাঁরা জটিলতার মুখে পড়বে।
প্রথমে নির্দেশ ছিল স্কুলেই তথ্য জমা দিতে হবে। সেখান থেকে যাবে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে। পরে বিকাশ ভবন থেকে নির্দেশ যায়, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেখানে থাকেন, সেখানকার পুরসভা, বিডিওর কাছে আবেদন করতে হবে। কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শক বা পুরসভার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এ বার নথিভু্ক্ত হওয়ার দিন নিয়েও জটিলতা। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সঠিক পরিকল্পনা না করলে এই হয়।’’