টেট-কেলেঙ্কারি, প্রাথমির স্কুলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সহ পনেরো দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে শুক্রবার দুপুরে বিকাশ ভবন চষে ফেললেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু স্মারকলিপি নেওয়ার জন্য মন্ত্রী বা আমলা কাউকেই পেলেন না! বাধ্য হয়ে শিক্ষা দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে ফিরে আসতে হল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
দলের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ,‘‘গণতন্ত্রকে কী ভাবে হত্যা করা হচ্ছে, এই ঘটনা তার একটা উদাহরণ মাত্র। বিরোধী দলের কথা শোনার মতোও কেউই নেই শিক্ষা দফতরে!’’ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বিধানসভা ভবনে ছিলেন। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলের স্মাপকলিপি নেওয়ার মতো কোনও আধিকারিকও বিকাশ ভবনে ছিলেন না। তাতে আরও ক্ষেপে যান কংগ্রেস নেতারা। ইন্দিরা ভবনের সামনে জমায়েতে অধীরবাবু বলেন,‘‘২১১টি আসন পেয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ভয় যাচ্ছে না। তাই বিরোধীদের স্মারকলিপি পর্যন্ত নেওয়ার সাহস দেখাতে পারছেন না শিক্ষা দফতরের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে তাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) নিয়ে আদালত সমালোচনা করেছে রাজ্য সরকারের। কংগ্রেস চাইছে, টেট নিয়ে আন্দোলনকে তুলে ধরে যুব সমাজকে পাশে পেতে। তাই এ দিন অধীর চৌধুরী-আবদুল মান্নানদের আক্রমণের সুর ছিল খুবই চড়া। এমনকী শিক্ষা মন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন অধীর। বলেন,‘‘শিক্ষাক্ষেত্রে এতদিনে একজন ‘বাঁটুল দ্য গ্রেট’ পাওয়া গিয়েছে। অথচ তার কিছুই করার নেই!’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী দলের কর্মীদের বলছেন, টাকা ফেরত দিতে। অর্থাৎ শিক্ষা ক্ষেত্রে ভর্তি থেকে চাকরি সব ব্যাপারেই তৃণমূল কর্মীদের টাকা
দিতে হয়।’’ যদিও অধীরের সমালোচনাকে গুরুত্বই দিতে চাননি পার্থবাবু।