প্রতীকী ছবি।
বিজেপির প্রস্তাবিত রথযাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে আদালতে। তার মধ্যে মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দল ধাক্কা খাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্য সফর অনিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবিত সফরও বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রথযাত্রার ভবিষ্যৎ এবং লোকসভার লড়াইয়ে পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বাংলার গেরুয়া শিবির। প্রকাশ্যে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্ব মচকাচ্ছেন না। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলের কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। জাতীয় বা অন্য রাজ্যের রাজনীতি থেকে এ রাজ্যের রাজনীতি আলাদা। এখানে যে বুক চিতিয়ে লড়বে, মানুষ তাকেই সমর্থন করবেন। এখানে এখন আমরাই বুক চিতিয়ে লড়ছি।’’ আর বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলের প্রভাবে যদি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষতি হয়, তা হলে তো এত দিনে অন্য রাজ্যে এবং কেন্দ্রে আমাদের সরকারের প্রভাবে এ রাজ্যে আমাদের সরকার হয়ে যেত!’’
দিলীপবাবু আগে ঘোষণা করেছিলেন, রথযাত্রা হোক বা না হোক, প্রধানমন্ত্রী শিলিগুড়িতে ১৬ ডিসেম্বর সভা করবেনই। কিন্তু এ দিন তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ওই সফর বাতিল হয়েছে। বিজেপির রথযাত্রা পর্বে এ রাজ্যে সভা করতে আসার কথা ছিল ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের। এ দিন তা নিয়েও বিজেপির অন্দরে বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছে। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এই ফলের পরেও রথযাত্রা পর্বে তিনি আসতেই পারেন।’’ কিন্তু রাহুলবাবু বলেন, ‘‘যিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকলেন না, তাঁর আর রথযাত্রায় আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বলেই তাঁকে ডাকা হয়েছিল।’’
এই ফলের পর বিজেপি কর্মীদের চাঙ্গা করতে কী করা হবে? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘কর্মীরা চাঙ্গাই আছেন। দলের দফতরে নাচতে আসেননি বলে কি তাঁরা ভেঙে পড়েছেন বলে মনে হয়? নেচে দেখাতে হবে যে চাঙ্গা আছেন?’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এখানে বিজেপি কিন্তু এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। আর এই ফলের পরে এখানে সিবিআইয়ের তদন্তের গতিও কমবে না।’’ তৃণমূলের এক নেতা হুঁশিয়ারিতে আমল না দিয়ে বলেছেন, ‘‘সিবিআই, ইডি-র মতো তদন্তকারী সংস্থাদের দিয়ে বিজেপি যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে, এ আর নতুন কী? আমরা এ সবে ভীত নই।’’