—ফাইল চিত্র।
রাজ্য়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা নিয়ে বিভ্রান্তি অব্যাহত। দলের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ রবিবার জানান, এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে প্রধামন্ত্রীর সভা হবে। কিন্তু ২৮ এবং ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে তাঁর যে দু’টি সভা করার কথা ছিল, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আর মঙ্গলবার মালদহে এবং বুধবার ঝাড়গ্রাম ও সিউড়িতে শাহের সভা হলেও বৃহস্পতিবার জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে তিনি সভা করতে পারবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শাহ। এ দিন তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘অমিত শাহের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে, শেষ দু’টি সভা উনি করতে পারবেন কি না।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন, তাঁদের সাংগঠনিক পাঁচটি জোনে প্রধানমন্ত্রী একটি করে সভা করুন। তার মধ্যে একটা হোক ব্রিগেডে, বাকিগুলি শিলিগুড়ি, ঠাকুরনগর, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রামে। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব এত অল্প সময়ের মধ্যে সব ক’টি সভার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে পারবেন কি না এবং সব ক’টি সভাতেই যথেষ্ট লোক আনতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান। তাই তাঁরা চান, প্রধানমন্ত্রী শুধু ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ করুন। পাঁচটি জোনে একটি করে সভা করুন শাহ। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ হয়ে গিয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মীরা ৮ তারিখেই ব্রিগেড ভরানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’’
তৃণমূলের ডাকা শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশের খরচ এবং ভিড়ের বহর নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তৃণমূল থেকে আসা দলের এক নেতার দাবি, ‘‘নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তৃণমূলের বার্ষিক আয় ৫ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। অথচ ব্রিগেডের শুধু ব্যানার, পোস্টার, ফ্লেক্সেই খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। এই টাকা কোথা থেকে এল, তা আমরা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছি।’’ জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘যিনি নিজে কখনও অঙ্কে পাশ করেননি, তিনি আবার অঙ্ক শেখাচ্ছেন! আগে এত মানুষকে এনে ব্রিগেডে চার-পাঁচ ঘণ্টার সভা করে দেখান! পরে এ সব শোনা যাবে।’’