সবং-কাণ্ডে সিবিআই চেয়ে শুরু আইনি লড়াই

সবংয়ের লড়াইকে আদালতেই টেনে নিয়ে গেল কংগ্রেস। ছাত্র পরিষদের কর্মী কৃষ্ণপ্রসাদ জানার খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৪০
Share:

সবংয়ের লড়াইকে আদালতেই টেনে নিয়ে গেল কংগ্রেস।

Advertisement

ছাত্র পরিষদের কর্মী কৃষ্ণপ্রসাদ জানার খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের তরফে আবু আব্বাসউদ্দিন একটি মামলা দায়ের করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে মামলায়। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য ওই মামলায় সওয়াল করবেন। একই দিনে সমগোত্রীয় আর একটি জনস্বার্থের মামলা করেছেন হেমন্ত কুমার মিত্র। তাঁর হয়ে লড়বেন আইনজীবী উত্তম মজুমদার।

সারদা-কাণ্ডে আব্বাসউদ্দিনই ছিলেন মান্নানের মামলার আবেদনকারী। বিধানসভায় সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার পাশে বসে মান্নান এ দিন বলেন, ‘‘সবংয়ে ছাত্র-হত্যার ঘটনায় পুলিশ সুপারের বক্তব্য বিপজ্জনক। যে ভাবে তদন্ত হচ্ছে, তাতে সুবিচারের আশা নেই। সিসিটিভি-র বাকি সব ফুটেজ নষ্ট করে শুধু তিনটি ক্যামেরার কিছু ছবি দেখিয়ে আসল অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। এই অবস্থায় সিবিআই তদন্ত ছাড়া গতি নেই।’’ বিধায়ক মানসবাবুর বক্তব্য, ‘‘গোটা এলাকায় পুলিশি সন্ত্রাস চালিয়ে সকলের মুখ বন্ধ করতে চাওয়া হচ্ছে। কলেজের কর্মচারীদের তুলে নিয়ে আটকে রেখে জোর করে স্বীকারোক্তি দেওয়ানো হচ্ছে। বিচারের জন্য দরকারে সুপ্রিম কোর্ট-সহ যত দূর যেতে হয়, আমরা যাব!’’ নিহতের পরিবারের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে আদালতে। দু-এক দিনের মধ্যেই নিহত কৃষ্ণপ্রসাদের পরিবারের তরফে হাইকোর্টে আরও একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

Advertisement

সবংয়ে সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র পরিষদের কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দিকেই। টিএমসিপি-র তিন সমর্থক গ্রেফতারও হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় আসরে নেমেছে শাসক দল। সবংয়ের তেমাথানিতে এ দিন সভা করে জেলা তৃণমূল নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে দলীয় যোগ ঝেড়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত এবং সবংয়ের মানুষের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। ধৃত তিন জনও যুক্ত নয় বলেই মনে করছি। পুলিশ তদন্ত করছে।’’ আর টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির বক্তব্য, “কোনও তৃণমূল কর্মী খুনের মতো পাপ করেছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না!’’ তৃণমূলের এই সভা থেকেই আজ, মঙ্গলবার কংগ্রেসের বন্‌ধ ব্যর্থ করার ডাকও দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন