সাগরে অভিযুক্ত তৃণমূল

প্রহৃত কংগ্রেস নেতা, শ্লীলতাহানি স্ত্রীর

সাগরে কংগ্রেসের এক অঞ্চল সভাপতি এবং তাঁর স্ত্রী তথা ব্লক স্তরের মহিলা কংগ্রেস নেত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে সাগর উপকূল থানায় ৬ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কংগ্রেস নেতার স্ত্রী। সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথ ভাবে এর মোকাবিলা করবে বলে জানিয়েছেন দু’দলেরই স্থানীয় নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদদাতা

সাগর শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৯
Share:

সাগরে কংগ্রেসের এক অঞ্চল সভাপতি এবং তাঁর স্ত্রী তথা ব্লক স্তরের মহিলা কংগ্রেস নেত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে সাগর উপকূল থানায় ৬ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কংগ্রেস নেতার স্ত্রী। সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথ ভাবে এর মোকাবিলা করবে বলে জানিয়েছেন দু’দলেরই স্থানীয় নেতারা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতের। এলাকায় টিউশন পড়িয়ে সংসার চালান ওই দম্পতি। অভিযোগ, স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী চড়াও হন তাঁদের বাড়িতে। দরজা ভেঙে ঢুকে ঘরে তছনছ চালানো হয়। ওই নেতার স্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল সমর্থকেরা সকলে মিলে মারধর করে। আমার কাপড় ছিঁড়ে দেয়। শ্লীলতাহানি করে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস করি বলে এর আগেও ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে আমাদের উপরে আক্রমণ হয়েছিল। তখন থেকেই ঘরছাড়া হয়ে পাশের এলাকায় মাথা গোঁজার জায়গা করেছিলাম। এখানেও চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালাল ওরা। হাঁটুতে লোহার রড দিয়ে প্রচণ্ড মেরেছে।’’ আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ওই দম্পতির ভোটার পরিচয়পত্র, আধার কার্ড কেড়ে নিয়ে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পরীক্ষার মার্কশিটও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক রতন কয়াল, কালীপদ ভুঁইয়া, সম্রাট ভুঁইয়া, কাদের আলি খাঁ, আশুতোষ প্রধান এবং পরিতোষ প্রধানের নাম রয়েছে। সাগর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে স্বামীর চিকিৎসা করানোর পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নেত্রী। কংগ্রেস নেতার মাথায় ও হাতে এবং চোখে চোট রয়েছে। অভিযুক্তরা এখনও অধরা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী কালীপদ কয়াল, আশুতোষ প্রধানরা বলেন, ‘‘রতন কয়ালের মেয়েকে কটূক্তি করেছিলেন ওই নেতা। গ্রামবাসীরা গিয়ে তাঁদের মারধর করেন। পরে আমরা ছাড়াতে যাই।’’

কিন্তু কটূক্তি করে থাকলে থানায় অভিযোগ জানাননি কেন? ওই নেতা-কর্মীরা জানান, পুলিশ আধিকারিক ব্যস্ত বলে করা হয়নি।

এলাকায় শিক্ষক হিসাবে জনপ্রিয়তা আছে ওই কংগ্রেস নেতার। সাগর ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি শেখ সহিদুল এবং সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র দাস সোমবার তাঁদের বাড়িতে যান। ঘটনার কথা জানানো হয়েছে জেলা সভাপতি অর্ণব রায়কে। তিনি বলেন, ‘‘জোট হবে, এ রকম অবস্থায় তৃণমূল ভয় পেয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস কর্মীদের নিশানা করা হয়েছে। আমরা জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাব। কারণ, এমন পরিস্থিতি তৈরি করে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে।’’ সাগরের সিপিএম জোনাল কমিটির সদস্য মলয় কয়াল বলেন, ‘‘জোট তো প্রায় হয়েই গিয়েছে। যৌথ ভাবেই আমরা এ সবের মোকাবিলা করব।’’

রবিবার থেকেই কাকদ্বীপে এসেছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাগরেও এলাকায় টহল দিয়েছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন