বিজেপি দফতরের সামনে যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার দেশ বেচে দিতে চাইছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখে এ রাজ্যেও প্রতিবাদে নামল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল মানিটাইজ়েশন পাইপলাইন (এনএমপি) প্রকল্পের বিরোধিতায় বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে বৃহস্পতিবার প্রথম বার পথে দেখা গেল প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের। যুব কংগ্রেসের ডাকে এনএমপি-র প্রতিবাদে মিছিল বিজেপির রাজ্য দফতরের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে অবশ্য পথে আটকে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বেশ কিছু যুব কংগ্রেস নেতা-কর্মীকে। কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য দফতর ‘ঘেরাও’-এর ডাক দিয়ে এ দিন মহাজাতি সদনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয় প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খানের নেতৃত্বে। বিজেপির দফতর পর্যন্ত পৌঁছনোর আগে মহম্মদ আলি পার্কের কাছে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তাতেই অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল হন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠকেরা। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ৭০ বছর ধরে দেশের যে সম্পদ নির্মাণ করা হয়েছিল, মোদী সরকার সে সবই বিক্রি করে দিতে চাইছে। রেল, বিমানবন্দর, বিমা, খনি সব বেসরকারি হাতে দিয়ে মূলধন সংগ্রহের নামে দেশের সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলেই তাঁদের অভিযোগ। প্রদেশ নেতাদের ছেড়ে দিলেও বিক্ষোভ-অবস্থান থেকে ৫০ জনেরও বেশি যুব নেতা-কর্মীকে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘কংগ্রেস এখনও পশ্চিমবঙ্গে আছে, এটা লোককে জানানোর জন্য হয়তো বিজেপি দফতরের দিকে কংগ্রেস নেতারা আসছিলেন!’’ তাঁর দাবি, ‘‘মোদীজি জানেন, দেশ তাঁর সম্পত্তি নয়। তাই দেশের সম্পত্তিকে দেশবাসীর কাছে লাগাচ্ছেন। লিজ থেকে পাওয়া টাকা নতুন শিল্প এবং কর্মসংস্থানে ব্যবহার হবে। এটা আমাদের নীতি।’’ সেই সঙ্গেই তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করতে চাই, মেট্রো ডেয়ারি বিক্রি করে দিলেন কেন? ওটা কি কারও সম্পত্তি ছিল? হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল? ডিপিএলের জমি লিজ দেওয়া হয়নি?’’ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘দিলীপবাবু আসলে জনস্বার্থে থাকা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আর সরকারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফারাক বোঝেন না। তাই এ সব কথা বলছেন!’’