বিধান ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ অধীর চৌধুরী, মনোজ চক্রবর্তী এবং আব্দুল মান্নান। নিজস্ব চিত্র।
বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষেই ফের জোরালো সওয়াল উঠে এল কংগ্রেসের অবস্থানের মঞ্চ থেকে। রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির মোকাবিলায় তৃতীয় শক্তিই বড়সড় চমক দেবে বলে কংগ্রেসের দাবি।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্মদিন এবং ‘মহিলা ও দলিত উৎপীড়ন বিরোধী দিবস’ পালনের মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলকে একই সঙ্গে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতারা। বিধান ভবনের সামনে ধর্না-অবস্থানে এ দিন ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর সাফ কথা, ‘‘তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হবে। কিন্তু বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। জোট হবেই। যাঁরা তৃতীয় শক্তিকে ছোট করে দেখছেন, তাঁরা ভুল করছেন! বাম ও কংগ্রেসের জোটই সকলকে চমকে দিয়ে ক্ষমতায় আসবে! বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েই এই কথা বলছি।’’
তার আগে জোটের সুর বেঁধে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য পড়শি রাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘‘বিহারে আরজেডি, কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম, সিপিআই এবং লিবারেশন সকলে মিলে মহাজোট গড়ে লড়ছে। তারাই সেখানে বিজেপির বিকল্প। এখানেও বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় কংগ্রেস, বাম ও বৃহত্তর বাম শক্তিকে একজোট হতে হবে। এটা ছাড়া পথ নেই।’’ বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, বিজেপি ও তৃণমূলের কাজে কোনও ফারাক নেই। অবস্থানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) মনোজ চক্রবর্তী, বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, সফিউল আলম খান প্রমুখ।
কেন্দ্রের কৃষি আইন এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার শহরে ট্রাক্টর মিছিল হবে প্রদেশ সভাপতির নেতৃত্বে। দলের এ দিনের অবস্থানেও অধীরবাবু বলেন, ‘‘কে কার থেকে বড়, তা-ই নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের লড়াই হচ্ছে। ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ি চলছে! রাজ্যে ২০ টাকায় মদ পাওয়া যাচ্ছে, সব্জি ৬০ টাকার নীচে নেই! মানুষের দুর্দশা-দুর্গতি এতেই বোঝা যায়।’’