Akhil Giri

‘রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে’! দ্রৌপদী-মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল

অখিলের বক্তৃতার ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় টুইটারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২ ১০:৩২
Share:

নন্দীগ্রামে অখিলের সভায় উপস্থিক কুণাল। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

নন্দীগ্রামে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার ক্ষমা চেয়েছেন অখিল।

Advertisement

নন্দীগ্রামে মন্ত্রী অখিলের ওই সভার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে এসেছে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও সেখানে হাজির হয়েছেন। ওই সভায় অখিলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?’’

মন্ত্রীর বক্তৃতার ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় টুইটারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। সুকান্তের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার “আদিবাসী বিরোধী”। মন্ত্রীর ওই বক্তৃতার ভিডিয়ো পোস্ট করে মালবীয় টুইটারে লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য অখিল গিরি বলছেন, ‘আমরা রূপের বিচার করি না। কিন্তু তোমাদের রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে? মুখ্যমন্ত্রী সব সময়ই জনজাতি বিরোধী। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেননি। এর পর এমন ঘটনা, লজ্জাজনক!”

Advertisement

বিতর্কের জেরে অখিল শনিবার দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘এক মাস আগে থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। আমি বয়স্ক মানুষ। আমার মনে ক্রোধ জন্মেছিল। রাষ্ট্রপতি মহোদায়াকে আমি কোনও অসম্মান করিনি। তাঁর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে, তা ক্রোধের বশে বেরিয়ে এসেছে। আমি অনুতপ্ত।’’

তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুভেন্দু সম্প্রতি অখিলের চেহারা সম্পর্কে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তার ‘জবাব’ দিতে গিয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কাঁথির তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে অখিল বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম-সহ জেলায় কোথাও বিশৃঙ্খলা ছড়াতে চাইলে শুভেন্দুর হাত ও পাঁজর ভেঙে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন