আঁকা ছবি আর তোলা ছবি। ছবি তোলা আর ছবি আঁকা। ছবি নিয়ে কটাক্ষ, পাল্টা কটিক্ষের বিস্তর খোঁচাখুঁচি হল বিধানসভায়। কারও নাম না-করেই।
বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় যোগ দিয়ে বলতে শুরু করেন রাজ্যে বিজেপির একমাত্র বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গের মতো বিস্তীর্ণ এলাকার বাজেট নিয়ে ভাষণ পর্বে ট্রেজারি বেঞ্চ তখন প্রায় ফাঁকা। বক্তা সেই প্রসঙ্গ তুলতেই কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘বলুন বলুন। ছবি উঠবে!’’
শুনেই ফোঁস করে ওঠেন বিজেপি বিধায়ক। বলেন, ‘‘ছবি উঠবে, কিন্তু বিক্রি হবে না। কারণ, আমার ছবি কে কিনবে?’’ এর পরেই কটাক্ষ ফিরিয়ে দেন তিনি, ‘‘কার ছবি বিক্রি হয়, জানেন তো? অনেক দামে। তবে এখন আর সেই বাজার নেই। যাঁরা কিনতেন, তাঁরা তো সব জেলে!’’
বিজেপি বিধায়কের অতর্কিত আক্রমণে চুপ করে যান মন্ত্রী বেচারামবাবু। ট্রেজারি বেঞ্চেও তখন সাড়া নেই। তবে শমীকবাবুর বক্তব্য শুনে হাসি চাপতে পারেননি কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। পরক্ষণেই তিনি অবশ্য নিজেকে সামলে নেন।
সামলে নেন শমীকবাবুও। ফের উত্তরবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন নিগম কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে সরব হন তিনি। সেই তদন্তের কী হল, জানতে চান। জবাবি বক্তৃতায় মন্ত্রী গৌতম দেব দফতরের কাজকর্মের সবিস্তার বিবরণ দিলেও নিগমের দুর্নীতি নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি।