সালিশি সভার পরে গন্ডগোল। বন্দুক হাতে ‘দাদাগিরি’ পঞ্চায়েত সচিবের! ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ।
পঞ্চায়েতের অস্থায়ী এক মহিলাকর্মীর সঙ্গে ‘বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে’ জড়িয়ে পড়েছেন পঞ্চায়েত সচিব! তা নিয়ে বিবাদ মেটাতে ডাকা হয়েছিল সালিশি সভা। সেখানে ওই পঞ্চায়েত সচিবের বিরুদ্ধে বন্দুক হাতে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠল মালদহের হবিবপুরে। সেই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। গোটা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন শাসকদলের দুই নেতাও। যে তৃণমূল নেতার বাড়িতে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল, সেখানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দলেরই আর এক নেতার বিরুদ্ধে।
হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী পঞ্চায়েতের সালাইডাঙা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব মণ্ডলের বাড়িতে পঞ্চায়েত সচিব সুদীপ্ত সিংহের ‘পরকীয়াঘটিত’ বিবাদ নিয়ে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। হাতাহাতিও হয়। সেই সময়েই পঞ্চায়েত সচিব বন্দুক হাতে ‘দাদাগিরি’ শুরু করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত সচিবকে সাহায্য করতে সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পীযূষ মণ্ডল। তিনি ও তাঁর অনুগামীরা রাজীবের বাড়িতে হামলা চালান। রাজীবের বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। রাজীব বলেন, ‘‘প্রেমঘটিত একটি বিষয়ে মীমাংসার জন্য বসা হয়েছিল আমার বাড়িতে। সেখানে পীযূষ মণ্ডলের লোকেরা হামলা চালিয়েছে।’’
ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পীযূষ। তিনি বলেন, ‘‘রাজীব মণ্ডল পঞ্চায়েত প্রধানের সই জাল করে জমি হাতানোর চেষ্টা করছিলেন। এ নিয়ে আমি অভিযোগ করেছিলাম বলে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’
গোটা বিতর্কে পঞ্চায়েত সচিব সুদীপ্ত অবশ্য মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’