দার্জিলিং মেল নিয়ে তুঙ্গে কাজিয়া

আগেই রেলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ি পুরসভার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সুজয় ঘটকও দার্জিলিং মেল এনজেপি থেকে সরলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

দার্জিলিং মেল না সরানোর দাবিতে এনজেপিতে বিক্ষোভ শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

দার্জিলিং মেল নিয়ে তরজা তুঙ্গে উত্তরবঙ্গে র দুই শহরের।

Advertisement

নিউ জলপাইগুড়ির ভার কমাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই দার্জিলিং মেলকে অন্য কোনও স্টেশন থেকে চালানোর ভাবনা শুরু হয়েছে রেলের অন্দরে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে দার্জিলিং মেল চালাতে কী ধরনের পরিকাঠামো দরকার, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে তা জানতে চাওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কাছে। রেল এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে তার আগেই ১৩৯ বছরের পুরনো এই ট্রেনকে নিয়ে শুরু হয়েছে দুই শহরের টানাপড়েন।

রেলের নথিতে দার্জিলিং মেল হল ‘প্রিভিলেজড ট্রেন’। কোনও ক্রসিংয়ে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলে প্রথমে দার্জিলিং মেলকে রাস্তা দেওয়াই নিয়ম। একসময়ে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি হয়ে শিলিগুড়ি যেত ট্রেনটি। দেশভাগের পর রুট বদলে গেলে ঐতিহ্যের খাতিরেই এখনও কয়েকটি সংরক্ষিত এবং বাতানূকুল কামরা হলদিবাড়ির থেকে গিয়ে মূল ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে যায়। এ হেন দার্জিলিং মেলকে আলিপুরদুয়ার থেকে চালানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা শুরু হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। উল্টোদিকে ‘অভিজাত’ দার্জিলিং মেলকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। এখান থেকে ট্রেন চললে ডুয়ার্সের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে বলে দাবি উঠছে সেখানে।

Advertisement

আগেই রেলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ি পুরসভার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সুজয় ঘটকও দার্জিলিং মেল এনজেপি থেকে সরলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব শনিবার বলেন, ‘‘এটা রেলের সিদ্ধান্ত। রেলের সিদ্ধান্তে যেন কোনও এলাকাকে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেটা নিশ্চয়ই রেল দেখবে।’’

অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ট্রেন চালুর প্রস্তাবের পক্ষে সুর চড়িয়েছেন সেখানকার বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী থেকে প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস। আজ রবিবার থেকে আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন সংগঠন রেল মন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে পথে নামবে। রবিবার সকাল দশটায় আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে জড়ো হবে অভিভাবক মঞ্চ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। মঞ্চের তরফে ল্যারি বসু বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেন চালানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হচ্ছে, আমাদের প্রতিবাদ তার বিরুদ্ধেই।’’ তবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি মিশ্র বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের পরিকাঠামো জানতে চাওয়া হয়েছে। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন