করোনায় জেলা-যোগ
CoronaVirus

পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা আতঙ্ক, চিন ফেরত যুবকের চিকিৎসা কলকাতায়

ইতিমধ্যে চিন থেকে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে কেরলে ফেরা দু’জনের করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়েছে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১৬
Share:

জেলায় করোনা আতঙ্ক

এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরেও নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক।

Advertisement

ইতিমধ্যে চিন থেকে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে কেরলে ফেরা দু’জনের করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওই বিমানেই সহযাত্রীদের মধ্যে বাংলার আট বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের মধ্যেই একজন পশ্চিম মেদিনীপুরের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে সংক্রমণের আশঙ্কায় ওই যুবককে সোমবারই কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই যুবক কর্মসূত্রে চিনে ছিলেন।

জানা যাচ্ছে, কেরলের আক্রান্তের সঙ্গে একই বিমানে ফেরা জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সোমবার। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজ়িজ়েস বা নাইসেডে এই নমুনা পরীক্ষা করা হবে। দু’দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট মিলবে।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘জেলার বাসিন্দা এক যুবককে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেরলের দুই আক্রান্ত যে বিমানে ছিলেন, ওই যুবকও সেই বিমানে ছিলেন।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, ‘‘পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হয়েছে। ওই যুবক ও তাঁর পরিজনেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যা পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’ একই দাবি জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গীরও। তাঁর কথায়, ‘‘কর্মসূত্রে ওই যুবক চিনে ছিলেন। তাঁর নাম- ঠিকানা জানার পরে যে পদক্ষেপ করার করা হয়েছে।’’

জানা যাচ্ছে, সংক্রমণের আশঙ্কায় থাকা ওই যুবক পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর মহকুমার অন্তর্গত এক ব্লকের বাসিন্দা। তিনি এক পরিজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই ২৩ জানুয়ারি বিমানে কলকাতায় ফিরেছিলেন। খোঁজ করে রবিবার তাঁর নাম- ঠিকানা জানতে পারেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা। রবিবার রাতেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় স্বাস্থ্য দফতরের দল।

দিন কয়েক আগেও খড়্গপুর মহকুমার অন্তর্গত এক ব্লকের বাসিন্দাকে বেলেঘাটায় পাঠানো হয়েছিল। তিনিও চিন থেকে ফিরেছিলেন। তিনি অবশ্য ২৩ জানুয়ারির ওই বিমানে ফেরেননি। ১৫ জানুয়ারির বিমানে ফিরেছিলেন। পরে যাবতীয় পরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, তিনি করোনা-সংক্রমণে আক্রান্ত নন।

করোনোভাইরাস বলতে এক গোত্রের অনেকগুলি ভাইরাসকে বোঝায়। বার্ড ফ্লু তথা সার্সের ভাইরাসও এই গোত্রের। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পরীক্ষায় যদি দেখা যায়, ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত নন, তাহলে মিটে গেল। কিন্তু যদি করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে আরও কিছু পদক্ষেপ করতে হবে।’’ তিনি জানিয়েছেন, এটি বায়ুবাহিত রোগ। তাই ওই যুবক বাড়ি ফেরার আগে-পরে এবং বাড়িতে যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরও কিছু পরীক্ষা করতে হবে। তাঁদের নাম- ঠিকানার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্ক্রিনিং হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement