ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে তালি-থালি বাজানোর কর্মসূচিতে সাড়া মিলেছিল। কিন্তু তার দু’সপ্তাহ পরে আজ, রবিবার ফের তাঁর ‘অকাল-দীপাবলি’র অনুরোধ আমজনতা মানবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বিজেপির মধ্যে। তাই ওই কর্মসূচি সফল করাতে আসরে নামতে হল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডাকে।
শনিবার তিনি পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির দলীয় সভাপতি এবং রাজ্য নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষও। সেখানেই নড্ডা দিলীপ ঘোষ-সহ অন্য রাজ্যগুলির সভাপতিদের এই ‘দীপাবলি’ কর্মসূচি সফল করতে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ওই আহ্বানের বিরুদ্ধে যে-সব বিরোধী-প্রচার চলছে, সে সবের মোকাবিলা করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জনগণ তালি-থালি বাজানোর পরবর্তী দু’সপ্তাহে দেশের পরিস্থিতির অনেক বদল ঘটেছে। করোনার বিরুদ্ধে লডাইয়ে সামনের সারির যোদ্ধা যাঁরা, সেই চিকিৎসক-নার্সরা চিকিৎসার সরঞ্জাম, পিপিই—কিছুই পর্যাপ্ত পাচ্ছেন না। করোনা পরীক্ষার কিট অপ্রতুল। লকডাউনে বিপন্ন দিনমজুরেরা। এই সঙ্কটে দেশের প্রধানমন্ত্রী সমাধানের আলো না দেখিয়ে জনতাকে মোমবাতি বা মোবাইলের আলো দেখানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। সুতরাং, এ বার জনতা তালি-থালি বাজানোর মতো সাড়া না-ও দিতে পারে। তাই আগে থেকেই তৎপর হয়েছে বিজেপি। নড্ডার এ দিনের ভিডিয়ো-বৈঠক তারই ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন: মোদীর ডাকে আজ দেশ জুড়ে যুদ্ধ বিদ্যুৎ নিয়ে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)