Coronavirus

দিল্লি থেকে পালিয়ে বাড়িতে

মঙ্গলবার ওই তরুণীর শরীরে কিছু কিছু রোগলক্ষণ স্পষ্ট হতে থাকে। তাঁকে এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ১২ জনকে বুধবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর ও তেহট্ট শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৬:২১
Share:

ফাইল চিত্র

দিল্লি থেকে পালিয়ে এসে নিজের এবং আত্মীয়-পরিজনদের বিপদ ডেকে এনেছেন নদিয়ার তেহট্ট ২ ব্লকের এক তরুণী। তাঁর দুই দাদা করোনা আক্রান্ত হয়ে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে দিল্লিতেই হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে কথা না শুনে কলকাতা হয়ে দিন চারেক আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

Advertisement

মঙ্গলবার ওই তরুণীর শরীরে কিছু কিছু রোগলক্ষণ স্পষ্ট হতে থাকে। তাঁকে এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ১২ জনকে বুধবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশু-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচ জন আছেন। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মাত্র চারটি শয্যা। রাতারাতি তেহট্টের কর্মতীর্থে কোয়রান্টিন সেন্টারে ১৬ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে। করিমপুর ২ ব্লক থেকেও জ্বর নিয়ে এক জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁর ছেলে ট্রাক নিয়ে নানা রাজ্যে যান। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত না-ও হয়ে থাকতে পারেন বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের ধারণা। এ দিন সব মিলিয়ে নদিয়া জেলায় মোট ১৭ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।

নিজেদের বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে কারও কারও জ্বর আসাতেও চিন্তা বেড়েছে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের। তবে এখনও পর্যন্ত তেহট্ট ১ ব্লকের এক বাসিন্দা ছাড়া কারও করোনা উপসর্গ দেখা যায়নি। বাকি যাঁদের জ্বর এসেছে তাঁরা অন্য সাধারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান। কিন্তু এখনই এ ব্যাপারে নিশ্চিন্তও হওয়া যাচ্ছে না। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার আশঙ্কা, ‘‘যত দিন যাবে ততই পরিস্থিতি জটিল হতে থাকবে। আগামী চার-পাঁচ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে যদি কোনও রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়ে যায়, লড়াই আরও কঠিন হবে।”

Advertisement

ভিন্ রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকেরা বেশির ভাগই বাড়ি ফেরার জন্য গত বৃহস্পতি বা শুক্রবার নাগাদ ট্রেনে উঠেছিলেন। এঁদের কারও শরীরে করোনাভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় থাকলে এ বার তাঁদের শরীরে উপসর্গ শুরু হতে পারে। সেই কারণেই জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে এই শয্যার সংখ্যা বাড়বে। তবে ভিন্ রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ঘরে ফেরা আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আর কোয়রান্টিন সেন্টার খোলার দরকার হয়নি। জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত দেওয়ান বলেন, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন