Coronavirus

বিধিনিষেধে বিভ্রান্তি, ৬ ঘণ্টা আটকে দেহ

কিছু দিন ধরেই মাথায় নানাবিধ সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন হলদিয়ার চকদ্বীপার বাসিন্দা ও বিমা সংস্থার এজেন্ট মানস কুমার বয়াল। দিল্লির এমসে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৫:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-ত্রাস বাড়ছে। দোসর নানাবিধ বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি। তেমনই এক গেরোয় মৃতদেহ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় পশ্চিম বর্ধমানের ডুবুরডিহি এলাকার রাস্তায় প্রায় ৬ ঘণ্টা কাটালেন কল্পনা বয়াল। নবান্নের হস্তক্ষেপে বর্ধমান সীমানা থেকে হলদিয়ার পথে মৃতদেহ নিয়ে রওনা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। প্রশ্ন উঠেছে, বিধি নিয়ে ধোঁয়াশা নাকি দুই জেলার পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে এতটা সময় লাগল মৃতদেহ ছাড়তে।

Advertisement

কিছু দিন ধরেই মাথায় নানাবিধ সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন হলদিয়ার চকদ্বীপার বাসিন্দা ও বিমা সংস্থার এজেন্ট মানস কুমার বয়াল। দিল্লির এমসে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে ফিরছিলেন কল্পনা। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গাতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও দেখতে চেয়েছে তারা। তারপর যথারীতি গাড়ি হলদিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। কিন্তু শনিবার সকালে রাজ্যের বর্ধমান সীমানাতে আসতেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় মানসের পরিবারের সদস্যদের। কারণ, সেখানে অ্যাম্বুল্যান্সটি আটকায় কুলটি থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে বলা হয়, কোনও মৃতদেহ ঢুকতে দেওয়ার নির্দেশ নেই। মৃতদেহ দিল্লিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

পরিবারের দাবি, এমস থেকে দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ রয়েছে। দিল্লির প্রশাসনিক তরফেও মৃতদেহ হলদিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানসের ভাইপো দীপঙ্কর। এমনকি হাসপাতালে থাকাকালীনই করোনার পরীক্ষাও হয় মানসের। তাতে নেগেটিভ রিপোর্টই এসেছে বলে জানিয়েছেন দীপঙ্কর। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, বিষয়টি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছিল। সেখান থেকে অনুমতি পাওয়ার পরে অ্যাম্বুল্যান্স ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন