Coronavirus in West Bengal

Coronavirus in West Bengal: দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে ভাতারে টিকার লাইনে ভিড়, সামলাতে ছুটে আসতে হল বিধায়ককে

শুক্রবার ভোর থেকেই টিকা নিতে ইচ্ছুকদের ভিড় জমে যায় হাসপাতাল চত্বরে। দেখা যায়, দু’টি পৃথক লাইনে টিকার জন্য শ’য়ে শ’য়ে মানুষ লাইন দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ১৮:৩৩
Share:

পরিস্থিতি সামলাতে ভাতারের হাসপাতালে তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

করোনার টিকাকরণের জন্য লাইনেই বজায় রইল না দূরত্ববিধি। ভিড়ের চাপ সামলাতে হিমশিম খেলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসতে হল স্বাস্থ্যকর্তা-সহ ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে।

টিকার সরবরাহ না থাকায় বেশ কয়েক দিন ধরে ভাতারে টিকাকরণ বন্ধ ছিল। তবে দিন দুয়েক আগে থেকেই ফের তা চালু হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকেই টিকা নিতে ইচ্ছুকদের ভিড় জমে যায় হাসপাতাল চত্বরে। দেখা যায়, দু’টি পৃথক লাইনে টিকার জন্য শ’য়ে শ’য়ে মানুষ লাইন দিয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। অনেকে ভোরের আলো ফুটতেই মুড়ি-বিস্কুট-জলের বোতল নিয়ে টিকার জন্য লাইন দিয়েছেন।”

তবে এ ভাবে জমানো ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়ানোয় আশঙ্কা দেখা দেয়। সকাল ৯টার মধ্যেই প্রায় ৭০০ জন ভাতার হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হয়ে যান। লেগে যায় হুড়োহুড়ি। পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার্স ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়ে যান। খবর যায় ভাতারের বিধায়কের কাছে। হাসপাতালে আসেন তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ। সঙ্গে ছিলেন ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ মহেন্দ্র হাজরাও। মানগোবিন্দ বলেন, “অল্প জায়গার মধ্যে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দূরত্ববিধি বজায় রেখে সকলে যাতে টিকার জন্য লাইন দিতে পারেন, তার বিকল্প ব্যবস্থা নিতে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।” ভাতারের বিডিও তপন সরকার বলেন, “এই পর্যায়ে সরকারি স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মী, হকার, ব্যবসায়ী, সব্জিবিক্রেতা, রেশন ডিলার, ব্যাঙ্ক কর্মচারী, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, স্কুলশিক্ষক, পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের টিকাকরণ করা হবে। ভাতার হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৬০০-৭০০ জনের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন