Coronavirus

স্বাস্থ্য পরীক্ষা না-করে চলে গেলেন ডাক্তার

রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন তারাপীঠ যাওয়ার পথে একটি লজের কোয়রান্টিন সেন্টারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

নিভৃতবাস কেন্দ্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা না-করে পিপিই রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল রামপুরহাট মেডিক্যালের পাঁচ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই চিকিৎসকদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপ্যাল সুজয় মিস্ত্রি, ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিক। এমএসভিপি বলেন, ‘‘পুরো ঘটনাটি ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশনকে জানানো হয়েছে। এর পরে স্বাস্থ্য ভবন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।’’

Advertisement

রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন তারাপীঠ যাওয়ার পথে একটি লজের কোয়রান্টিন সেন্টারে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান, এ দিন সেখানে ৬৫ জন শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক জন মেডিসিনের চিকিৎসক, এক জন শিশু বিশেষজ্ঞ, একজন অ্যানাস্থেটিস্ট-সহ পাঁচ জনের মেডিক্যাল টিম আসে। সকলেই পিপিই পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গিয়েছিলেন। কয়েক জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই তাঁরা চলে যান।

রামপুরহাট মহকুমাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল জানান, দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ তিনি ওই লজে গিয়ে দেখেন ওই চিকিৎসকেরা তাঁদের পিপিই রাস্তার ধারে ফেলে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘পুরো বিষয়টি আমি এমএসভিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।’’ বিকেলে রামপুরহাট ২ ব্লকের চিকিৎসকেরা গিয়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন চিনের কিট চলে এল, র‌্যাপিড টেস্ট কী জেনে নিন

আরও পড়ুন সার্ক দেশে কেন ‘মন্থর’ করোনা? গবেষণার ডাক বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে

ওই চিকিৎসকদের মধ্যে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সমীরকুমার সিংহ বলেন, ‘‘কোন ঘরে রোগী আছে আমরা জানতে পারিনি। ঘরে ঘরে খোঁজ করে রোগী দেখেছি। জায়গা না পেয়ে আমরা ডাস্টবিনে পিপিই ফেলে চলে গিয়েছি। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাউন্ডও দিয়েছি।’’


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন