Migrant Workers

মহারাষ্ট্র থেকে আসা ট্রেনই চিন্তা বাড়াচ্ছে হাওড়ায়

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ থেকে হাওড়ায় এসেছেন পাঁচ হাজারের কিছু বেশি শ্রমিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০২:২৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্র থেকে হাওড়ায় আসা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতেই বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলছে। শুক্রবার হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত ২৮ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে শুধু মহারাষ্ট্র থেকেই এসেছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছে ১১৭ জনের। বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে শুধু দিল্লি থেকে আসা চার শ্রমিকের করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তাই মহারাষ্ট্র থেকে আসা ট্রেন নিয়েই এখন মাথাব্যথা হাওড়া জেলা প্রশাসনের।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ থেকে হাওড়ায় এসেছেন পাঁচ হাজারের কিছু বেশি শ্রমিক। এই পাঁচটি সর্বাধিক সংক্রমিত রাজ্য ছাড়া বাকি ১৫টি করোনা সংক্রমিত রাজ্য থেকে এসেছেন প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, মহারাষ্ট্র-সহ পাঁচটি সর্বাধিক সংক্রমিত রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের মধ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪৩৪ জনের। দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে ১২১ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। ওই শ্রমিকদের মধ্যে ১১৭ জন এসেছেন মহারাষ্ট্র থেকে, বাকি চার জন দিল্লি থেকে। এ ছাড়া, করোনা সংক্রমিত বাকি ১৫টি রাজ্য থেকে আসা প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিকের মধ্যে ২৪১ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। তাঁদের সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

Advertisement

হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভিন্ রাজ্য থেকে আসা যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, তাঁদের এলাকার স্কুলে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, সরকারি বা বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে আর জায়গা নেই।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল গিয়ে ওই শ্রমিকদের চিকিৎসা করবে। পুরো নজর রাখবে তারাই। শ্রমিকদের বাড়ির লোকেদের বলা হয়েছে খাবার ও জলের ব্যবস্থা করতে। তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে দূরত্ব-বিধি মেনে চলতে হবে।

জেলা প্রশাসনের আশঙ্কা, ট্রেনগুলিতে যে শ্রমিকেরা ফিরছেন, তাঁদের পরীক্ষা করলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। আপাতত তাঁদের রাখার জায়গা বার করাই মূল চ্যালেঞ্জ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন