অবরোধ তোলা নিয়ে পুলিশ-জনতা গোলমাল। নিজস্ব চিত্র।
ডাম্পারের ধাক্কায় একটি গরুর মৃত্যুতে অশান্তি তৈরি হল বুদবুদের সোঁয়াই গ্রামে। গরুটির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে প্রায় ঘণ্টা তিনেক পানাগড় বাইপাস অবরোধ করেন এক দল স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ যাওয়ার পরেও অবরোধ তুলতে রাজি হননি তাঁরা। শেষে পুলিশ তাড়া করে অবরোধ তুলে দেয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের হঠাতে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাধবমাঠ-মানকর রাস্তার সোঁয়াই গ্রামের কাছে এ দিন একটি ডাম্পার স্থানীয় এক বাসিন্দার গরুকে ধাক্কা মারে। তাতে গরুটির মৃত্যু হয়। বাসিন্দারা দাবি করেন, মৃত গরুটির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু ডাম্পারের চালক-খালাসি তা দিতে রাজি না হওয়ায় রাস্তা অবরোধ শুরু করেন ওই বাসিন্দারা। এই রাস্তাটির কিছু অংশ এখন পানাগড় বাইপাস হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কলকাতার দিকে যাওয়া বা সেখান থেকে আসা ছোট গাড়িগুলি এখন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া বাইপাস তৈরির জন্য মাটি বোঝাই বহু ডাম্পার এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। অবরোধে আটকে পড়ে বহু গাড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাইপাস হিসেবে একটি দিক খুলে দেওয়ার পরে এই রাস্তার গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এখান দিয়ে ডাম্পারগুলি বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করে। তার জেরে মাঝে-মধ্যেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, এই রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকর্মী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছিল বারবার। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সে কারণেই এ দিন দুর্ঘটনার পরে রাস্তা অবরোধ করা হয় বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু অবরোধ তুলতে রাজি হয়নি জনতা। অবরোধকারীদের অভিযোগ, এর পরেই বড় পুলিশ বাহিনী এসে লাঠি চালাতে শুরু করে। তাতে কয়েক জন আহত হন বলে দাবি এলাকাবাসীর। যদিও পুলিশ লাঠি চালানোর কথা মানতে চায়নি। পুলিশ জানায়, ওই বাসিন্দাদের বারবার অবরোধ তুলতে বলা হয়েছিল। কারণ, রাস্তায় যানজট তৈরি হচ্ছিল। বাসিন্দাদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলেও তাঁরা রাস্তা থেকে সরেননি। তাই লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের হঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।