ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে অশান্তি শুরু হওয়ার পরে আইপিএস ও প্রশাসনিক স্তরে কিছু রদবদল হয়েছে। সমতলের অফিসারদের পাঠানো হয়েছে পাহাড়ে। আবার পাহাড়ের অফিসারদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে সমতলে। সেই ধারা বজায় রেখে এ বারে বদলি করা হল শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকেও। একই সঙ্গে সিংমারিতে পুলিশের গাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ও তিন মোর্চা সমর্থকের গুলিতে মৃত্যুতে তদন্তের ভার দেওয়া হল সিআইডিকে।
এ দিন বদলি করা হয়েছে শিলিগুড়ির সিপি চেলিং সিমিক লেপচাকেও। তাঁকে কলকাতায় রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের আইজি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় আনা হল হল আইবি-র আইজি (বর্ডার) নীরজ সিংহকে। পাশাপাশি হুমায়ুন কবীরকে ডিআইজি (দার্জিলিং রেঞ্জ) করা হয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং, এই দুই জেলা দেখার মূল দায়িত্ব এখন তাঁর উপরে। দার্জিলিং পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ক’দিন ধরে সমতলের অফিসারদের পাহাড়ে পাঠানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েক জন আইপিএস পাহাড়ে পৌঁছেছেন। সাধারণ প্রশাসনেও সমতলের অফিসার বাড়ানো হয়েছে।
একই সঙ্গে সিংমারি কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। সিআইডির এডিজি রাজেশ কুমার জানান, তদন্ত করতে দার্জিলিঙে পৌঁছেছেন সিআইডি গোয়েন্দাদের তিন সদস্যের একটি দল। সেই দলে আছেন সিআইডির হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা পুলিশের অফিসার, কর্মীরা অশান্ত পাহাড়ে়র আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত। ফলে পলাতক অভিযুক্তদের ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে তাঁদের বেগ পেতে হচ্ছে। তাই সিআইডির হাতে তদন্তভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা সরকারি ভাবে ওই তদন্তের দায়িত্বে। তবে সিআইডির বেশ কয়েকটি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা ওই গোয়েন্দাদের সব রকম সাহায্য করেন।