গেরিলা বিক্ষোভে কান্তিরা, হাফপ্যান্ট দিতে চান মুকুল

শীতঘুম থেকে উঠে এ বার গেরিলা বিক্ষোভের রাস্তায় নামল সিপিএম! রাজ্যের ভাবমূর্তির পরোয়া না করে বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনের আসরে আচমকা বিক্ষোভ দেখাতে গেল তারা। মিলন মেলা চত্বরে শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাধল সিপিএমের নেতা-কর্মীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৪
Share:

ফাইল চিত্র

শীতঘুম থেকে উঠে এ বার গেরিলা বিক্ষোভের রাস্তায় নামল সিপিএম! রাজ্যের ভাবমূর্তির পরোয়া না করে বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনের আসরে আচমকা বিক্ষোভ দেখাতে গেল তারা। মিলন মেলা চত্বরে শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাধল সিপিএমের নেতা-কর্মীদের। রাজ্যে বিনিয়োগ আহ্বানের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গোটা দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরের শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, সেই সময়ে শুধু বিরোধিতার স্বার্থে সিপিএম ফের নেতিবাচক রাজনীতির কানা গলিতে ঢুকে পড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

Advertisement

বস্তুত, দীর্ঘ দিন পরে সিপিএম নেতাদের সামনে থেকে জঙ্গি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে এ দিন। আগে থেকে কোনও ঘোষণা না করেই পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও সুজন চক্রবর্তী, কলকাতার মানব মুখোপাধ্যায়, অনাদি সাহু, উত্তর ২৪ পরগনার নেপালদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা আচমকা হাজির হয়ে যান শিল্প সম্মেলনের বাইরে। ভাঙড়ে ঘাতক বাহিনীর হাতে মানুষ যখন মারা যাচ্ছে, তখন শিল্প সম্মেলনের নামে প্রহসন কেন— এই ছিল বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি বাধে। পরমা আইল্যান্ডের কাছে পুলিশের লাঠিতে আহত হন বেশ কয়েক জন। কান্তি, সুজন, মানব, অনাদি-সহ ১৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের আজ, শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

এমন বিক্ষোভকে ‘হঠকারী’ আখ্যা দিয়েই কড়া সমালোচনা করেছে শাসক পক্ষ। রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে ওরা।’’ তৃণমূলের আর এক শীর্ষ নেতা মুকুল রায়ের কটাক্ষ, ‘‘কান্তিবাবুকে হাফপ্যান্ট কিনে দেব! উনি আবার ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করুন!’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘আক্রমণ করে আমাদের কর্মীদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’’ আর সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘চপ-মুড়ি ভাজার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কোনও শিল্প সম্মেলন লাগে না!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement