CPM

প্রশাসকের ‘চাল’ উল্টে দিতে চায় বিরোধীরা

পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর পরে কলকাতা পুরসভায় বিদায়ী মেয়রকেই মাথায় রেখে প্রশাসকমণ্ডলী গড়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০৫:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি

শাসকের চাল ছিল মনোনয়ন। বিরোধীদের পাল্টা চাল হতে চলেছে প্রত্যাখ্যান! করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মেয়াদ ফুরনো পুরসভা পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগকে কেন্দ্র করেও রাজনৈতিক লড়াই জমে উঠছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের।

Advertisement

পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর পরে কলকাতা পুরসভায় বিদায়ী মেয়রকেই মাথায় রেখে প্রশাসকমণ্ডলী গড়া হয়েছে। যা আসলে পদ বদলে পুরনো মেয়র পরিষদকেই বহাল রাখা। রাজ্য সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস। এ বার একমাত্র বাম-পরিচালিত বোর্ড শিলিগুড়ির ক্ষেত্রেও একই ভাবে বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করার পথে যাচ্ছে পুর দফতর। যে ব্যবস্থা নিয়ে নিজেরা প্রশ্ন তুলেছেন, সেটাই আবার নিজেদের জন্য মেনে নিলে জনমানসে ভুল বার্তা যাবে— এই যুক্তি সামনে রেখে এমন আয়োজন থেকে সরে দাঁড়ানোর রাজনৈতিক প্রস্তুতিই নিয়ে রাখছেন রাজ্য সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সরকারি নির্দেশিকা জারি হলে তাঁরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। শিলিগুড়ি যেমন বামেদের হাতে, তেমনই দক্ষিণবঙ্গে জয়নগর পুরসভার বোর্ডে আছে কংগ্রেস।

শিলিগুড়িতে অশোকবাবুকেই রেখে দিয়ে শাসক শিবির বার্তা দিতে চেয়েছে যে, তারা এখন দল-নিরপেক্ষ প্রশাসন চালাতে চায়। কিন্তু সরকারের মনোভাব বুঝে নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা আলোচনা করে দেখেছেন, তৃণমূল-পরিচালিত পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী বসানো নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটাই আবার নিজেরা মেনে নিলে ব্যাপারটা তাঁদের বিপক্ষেই যাবে। তবে পুর আইনে থাকা সংস্থানের কথা বলে এই প্রশাসকের ব্যবস্থা মেনে নেওয়ার পক্ষপাতী একটা অংশও সিপিএমে আছে। শিলিগুড়ির পরে আরও প্রায় ৯০টা পুরসভার মেয়াদ ফুরোচ্ছে। তাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলের রাজ্য কমিটির সদস্যদেরও মতামত নিচ্ছে আলিমুদ্দিন।

Advertisement

সিপিএমের পলিটব্যুরোর এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর সিদ্ধান্তের নীতিগত বিরোধিতা করেছিলাম। নীতিগত বিরোধিতা থাকলে নিজেরা সেই ব্যবস্থা স্বীকার করে নেওয়া উচিত নয়।’’ সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নানদের মতও তা-ই। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা বলছেন, ‘‘শাসক দল আমাদের ফাঁদে ফেলতে চাইছে! ওদের সিদ্ধান্তকে আমরা বলেছি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার কৌশল। সেই কৌশলেই আমাদের জড়িয়ে নিলে মানুষের কাছে দ্বিচারিতা প্রকট হবে! ফায়দা হবে বিজেপির।’’ তবে এই আপৎকালীন সময়ে প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ না করলে যে প্রচার হতে পারে, তার মোকাবিলার কথাও ভেবে রাখতে হচ্ছে বিরোধীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন